নয়াগ্ৰামে ফের হাতির হানায় প্রাণহানি, আহত তিন

ঝাড়গ্রামে ফের হাতির আক্রমণ, নয়াগ্ৰাম ও সাঁকরাইলে একের পর এক মৃত্যু ও আহতের ঘটনা। বন দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে।

author-image
Debapriya Sarkar
New Update
Anm

নিজস্ব সংবাদদাতা : হাতির হানায় প্রাণ হানীর ঘটনাতে যেন কোন কিছুতেই রাশ টানা যাচ্ছে না। নয়াগ্ৰামে ফের এক ব্যক্তির প্রাণ গেল হাতির হানায়। সকালে নিজের টেন্ডার নেওয়া কাজু বাগান পাহারা দিতে গিয়ে বাছুরখোয়াড় এলাকায় প্রাণ বিয়োগ ঘটল বছর ৪৫ এর এক ব্যক্তির।

publive-image

জানা গিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম শান্তিরঞ্জন বেরা, বয়স ৪৫ বছর। স্থানীয় সুত্রে খবর, এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে একটি কাজু বাগান লিজে নিয়েছেন শান্তিরঞ্জন বেরা। কাজু চুরির ভয়ে প্রতিদিনের মতো এদিন বাগান পাহারা দিতে যান শান্তিরঞ্জন‌। এমন সময় আশেপাশে থাকা হাতির অবস্থান বুঝতে না পারায় হঠাৎ তাঁর উপর হাতি আক্রমণ চালায়। প্রাণ যায় শান্তিরঞ্জনের। পরে প্রায় বেলা বারোটা নাগাদ পুলিশ ও বন দফতর এসে দেহ উদ্ধার করে। 

অন্যাদিকে বাছুরখোয়াড়ের পাশের গ্রাম কেয়াঝড়িয়া এলাকার জঙ্গলে পাতা সংগ্রহ করতে গিয়ে হাতির হানায় গুরুতর জখম ২ জন তাদের দুজনকে ভর্তি করা হয়েছে নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। আহতরা হলেন ভুতড় মুর্মু বয়স ৬০ বছর ও কুনা হেমব্রম বয়স ৫৫ বছর। হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, ভুতড় মুর্মুর পা ভেঙেছে ও কুনা হেমব্রমের চোট গুরুতর হওয়ায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে। তবে নয়াগ্ৰামের বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক ব্যক্তির হাতির হানায় সাধারণ মানুষের প্রাণ হানির ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

publive-image

অন্যদিকে ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের কেশরগেড়িয়া এলাকায় কাজু বাগানে হাতির হামলায় গুরুতর জখম হলেন চিড়াকুটি গ্রামের বাসিন্দা গৌকুল সিং। সকালে কাজু বাগানে গিয়ে তিনি হঠাৎই ৪ টি হাতির একটি দলের সামনে পড়ে যান। একটি হাতি সুঁড়ে ধরে তাঁকে আছাড় মারে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভাঙ্গাগড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। জেলা জুড়ে একের পর এক এইভাবে হাতির হানায় সাধারণ মানুষের মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। তাঁদের দাবি, বন দফতর ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়ার ফলে বারবার এমন প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন তাঁরা।