ফর্ম আপলোড করতে করতেই নিভে গেল প্রাণ! মুর্শিদাবাদে ফের BLO-র মৃত্যু

মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে SIR ফর্ম আপলোডের চাপেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু এক BLO-র। পরিবারের দাবি অতিরিক্ত কাজের চাপ। রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র তরজা শুরু।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
dead

নিজস্ব সংবাদদাতা: ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনের চাপেই কি ঝরে গেল আর এক জীবন? ফের BLO-র মৃত্যুকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল মুর্শিদাবাদ জেলায়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে খড়গ্রামের ঝিল্লি গ্রাম পঞ্চায়েতের দিঘা এলাকায় মৃত্যু হল ১৪ নম্বর বুথের BLO জাকির হুসেনের। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে বসেই SIR সংক্রান্ত ফর্ম আপলোডের কাজ করছিলেন তিনি। সেই সময় আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন।

দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু রামপুরহাট হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই পথেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের দাবি, দিনের পর দিন মাঠে নেমে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ, তার সঙ্গে রাতে বাড়িতে বসে অনলাইন আপলোড—সব মিলিয়ে চরম মানসিক ও শারীরিক চাপের মধ্যেই দিন কাটছিল তাঁর।

এই মৃত্যুকে ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, কেন্দ্রের চাপানো SIR প্রক্রিয়ার অতিরিক্ত কাজের বোঝাই একের পর এক BLO-কে অসুস্থ করে তুলছে। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, রাজ্য সরকার কর্মীদের সুরক্ষা ও কাজের সঠিক বণ্টন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। দু’তরফের তরজায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জেলা রাজনীতি।

hand-dead-victim-woman-covered-600nw-
ফাইল চিত্র

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, জাকির হোসেন গত কয়েকদিন ধরেই প্রায় বিশ্রামহীনভাবে কাজ করছিলেন। সকালে মাঠে, বিকেলে বুথে, আর রাতে বাড়িতে বসে অনলাইন কাজ—এই ছিল তাঁর দিনের রুটিন। পরিবারের অভিযোগ, একাধিকবার অসুস্থ বোধ করলেও কাজের চাপে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগই পাননি তিনি।

এই নিয়ে রাজ্যে BLO মৃত্যুর তালিকা আরও এক ধাপ বাড়ল বলে দাবি উঠছে। তার আগেও একাধিক জেলায় কাজের চাপের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়া এবং মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। প্রতিবারই প্রশাসনের তরফে দুঃখপ্রকাশ করা হলেও বাস্তবে কাজের চাপ যে একটুও কমছে না, সে কথা প্রকাশ্যে বলছেন অনেক BLO কর্মীই। নতুন করে এই মৃত্যুর ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে পড়ল SIR প্রক্রিয়ার চাপ এবং মাঠপর্যায়ে কর্মরতদের নিরাপত্তা।