ইজরায়েলের যুদ্ধের কাহিনী শোনালেন শালবনীর অনিরুদ্ধ

যুদ্ধের সময়ে সেখানেই ছিলেন বাংলার যুবক।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
WhatsApp Image 2025-07-01 at 2.26.24 PM

নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: "এর আগেও ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু, কোনোটাই ১৩ দিন স্থায়ী হয়নি। যদিও যুদ্ধের প্রথম ৮-৯ দিন আমরা ততোটা ভয় পাইনি। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা শক্তির উপর আমাদের ভরসা ছিল। কিন্তু যুদ্ধের ১১তম দিনে অর্থাৎ রবিবার সকালে যখন আমাদের আবাসনের খুব কাছেই একটা মিসাইল এসে পড়ল আমরা সত্যি সত্যি ভয় পেয়ে যাই। আমাদের ভাগ্য ভালো ওই দিন থেকেই ভারতীয় দূতাবাস নাগরিকদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করে আর আমাকেও সোমবার সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়"- বাড়ি ফিরে ঠিক এভাবেই ভাউদি হাইস্কুলে দাঁড়িয়ে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীর ভাউদি গ্রামের যুবক অনিরুদ্ধ বেরা। এদিন স্কুলের তরফেও তাকে সংবর্ধিত করা হয়। ভাউদি হাই স্কুল থেকেই মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন অনিরুদ্ধ। ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্সার বায়োফিজিক্স নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি। ভয়াবহ যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই ভারত সরকারের তৎপরতায় অপারেশন সিন্ধুতে তিনি দেশে ফিরেছেন। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে কলকাতা হয়ে নিজের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন। অনিরুদ্ধ জানান, "ইজরায়েলে মিসাইল হানা বা যুদ্ধ কোনো ব্যাপার নয়। কিন্তু এবারের মত এত ভয়াবহ আকারের যুদ্ধ সে দেশের বাসিন্দারা দেখেননি। তবে আমরা ভাবিনি এত দ্রুত পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে বা যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হবে। আগামী ২ সপ্তাহ পরিস্থিতি দেখার পর পুনরায় ইজরায়েলে ফেরার চিন্তা-ভাবনা করব"। একমাত্র ছেলে বাড়ি ফেরায় খুশি বাবা-মাও। বাবা অসীম কুমার বেরা বলেন, "ছেলে বাড়ি ফিরে এসেছে আমরা খুশি। ভারত সরকার এবং ইজরায়েলে থাকা ভারতীয় দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানাই"। মা রাখি বেরা বলেন, "খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ছেলে বাড়ি ফিরে এসেছে খুব খুশি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই"।

Tehran under fire after new Israeli strikes • FRANCE 24 English