এলাকাবাসীর কাছে অভিশাপ হলেও মমতার কাছে ঘাটালের বন্যা ঈশ্বরের আশীর্বাদ হয়ে এসেছে- এবার মুখ খুললেন বাংলারই নেতা- মুহূর্তে শোরগোল

কি বললেন বাংলার নেতা?

author-image
Aniket
New Update
Mamata banarjee

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ডিভিসি বাধ্য হয়েছে জল ছাড়তে। তবে মমতা ব্যানার্জি সম্পূর্ণ বিষয়টিকে ম্যান মেড বলে ক্রমশ কেন্দ্রকে দুষছেন। তবে এবার মমতা ব্যানার্জিকে এই বন্যা নিয়েই চরমতম নিশানা করলেন বাংলার নেতা তথাগত রায়। তিনি দাবি করেছেন, মমতার কাছে ঘাটালের বন্যা ঈশ্বরের আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। তিনি ট্যুইট করে বলেছেন, "এলাকাবাসীর কাছে অভিশাপ হলেও মমতার কাছে ঘাটালের বন্যা ঈশ্বরের আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। যতই তিনি বন্যাদুর্গত মানুষের কাছে গালি খান, ডাক্তারদের আন্দোলন থেকে নজর তো সরিয়ে নেওয়া গেল ! উনি বলছেন, ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন। তাহলেই তো বন্যার জল হুড় হুড় করে নেমে যাবে !" তথাগত রায়ের এই ট্যুইট ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে।

Tathagata Mamataqw1.jpg

উল্লেখ্য, বন্যার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ট্যুইট করে ইতিপূর্বে বলেন, "আর্ত মানুষের পাশে আজীবন থাকার প্রতিজ্ঞা নিয়েই রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছিলাম। আজ আমার রাজ্যবাসীর একাংশ বন্যা পরিস্থিতির কারণে বিপদের সম্মুখীন। কাল আমি হুগলির পুরশুড়া, গোঘাট-আরামবাগ এলাকা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে গিয়েছিলাম। এছাড়াও বীরভূমের বন্যা কবলিত এলাকায় প্রশাসনের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখেছি। আজ, পাঁশকুড়া, রাতুলিয়ার বন্যা কবলিত এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখলাম এবং সেখানকার স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আশ্বস্ত করলাম। আমাদের প্রশাসন দিবারাত্রি তাঁদের পাশে আছে। যাঁদের শস্যের ক্ষতি হয়েছে, তাঁরা শস্য বীমার টাকা পাবেন। এখন আমি উদয়নারায়ণপুরের পথে। এই বছর কোনো আলোচনা ব্যতীত প্রায় পাঁচ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, যার জন্য দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ বন্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এটি একটি ‘ম্যান ম্যাড বন্যা’ ছাড়া আর কিছুই নয়। আমি প্রথমদিন থেকে এই পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। দুর্গতদের পাশে থাকতে আমাদের মা-মাটি-মানুষের সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ত্রাণ পরিষেবায় চালু আছে। প্রত্যেক পরিবার যেন ত্রাণ পরিষেবা পায়, তা সুনিশ্চিত করেছি।  কোনো একজন মানুষেরও ক্ষতি যেন না হয় সেটি নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর"। ফলে বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে রাজনীতি যে ক্রমশই জোরদার হয়ে উঠছে তা স্পষ্ট হচ্ছে একের পর শাসক বিরোধী ট্যুইট ও বক্তব্যকে কেন্দ্র করে।