শিক্ষার নতুন দিশা দেখাচ্ছেন প্রত্যন্ত গ্রামের আদিবাসী গৃহবধূ

পথ দেখাচ্ছেন আদিবাসী গৃহবধূ।

author-image
Aniket
New Update
Screenshot 2025-07-13 8.50.48 AM

File Picture

নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া: শিক্ষার নতুন দিশা দেখাচ্ছেন অযোধ্যা পাহাড়ের প্রত্যন্ত গ্রামের এক আদিবাসী গৃহবধূ। একেবারে প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রাম। সেখানেই টিনে ছাওয়া মাটির  ঘর থেকে শিক্ষার আলো জ্বালাচ্ছেন এক আদিবাসী গৃহবধূ। অতি সামান্য পরিকাঠামো নিয়ে মনের জোরে এলাকার শিশুদেরকে দিচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ। পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের একেবারে প্রত্যন্ত জিলিংসেরেং গ্রাম। বর্তমানে  এলাকার মানুষের কাছে শিক্ষার অন্যতম ভরসা হচ্ছেন মালতী মুর্মু। নিশুল্ক সাঁওতালি মাধ্যমে আদিবাসী পড়ুয়াদের শিক্ষাদান করে চলেছেন উচ্চ মাধ্যমিক পাস এই গৃহবধূ। এখন তাঁর ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ৪৫। নিজের রয়েছে দুই সন্তান। ঘরের সাংসারিক চাপের মধ্যেও শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে এতটুকুও সমঝোতা করেন না তিনি।

অলচিকি হরফে তিনি প্রাথমিকের পাঠ দেন মূলত সাঁওতালি ভাষাভাষী পড়ুয়াদের। নিজের উদ্যোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিয়ের পর শশুর বাড়ি জিলিংসেরেং এলাকা এসে দেখেন শিক্ষার মান একেবারে নিচে। তাই গ্রামের ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত করতে স্বামী বাঁকা মুর্মুকে বলে প্রথমে কয়েক জন শিশুকে নিয়ে নিয়মিত পড়াতে শুরু করেন তিনি।  এরপর গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় ২০২০ সালে দুটি ক্লাস ঘর নির্মিত হয়। এখন সেখানেই নিয়মিত হচ্ছে পঠনপাঠন। চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান করছেন মালতী দেবী। গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও শিক্ষাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে এই উদ্যোগ বলে দাবি মালতীর স্বামী বাঁকা মুর্মুর। গ্রামের মানুষ তার এই উদ্যোগে দারুন ভাবে প্রভাবিত। মাতৃভাষায় নিজেদের ছেলেমেয়েদের লেখা পড়া করতে পারছে এতে যেমন ক্ষুদে পড়ুয়ারা সাক্ষর হচ্ছে। তেমনই উচ্চ শিক্ষার আগ্রহও বাড়ছে তাদের মধ্যে।