/anm-bengali/media/media_files/2025/11/28/whatsapp-image-2-2025-11-28-15-54-46.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান ডেবরায়। ভগ্নপ্রায় ব্রীজ আর বাঁশের সাঁকোর উপর জীবন হাতে নিয়ে পারাপারের দিন এবার শেষ হতে চলেছে। Debra ব্লকের ৩ নম্বর সত্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শালডহরী এলাকায় অবশেষে শুরু হল নতুন কংক্রিটের ব্রীজ নির্মাণের কাজ। গ্রাম পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল থেকে সাড়ে চার লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই ব্রীজ তৈরির উদ্যোগে খুশির হাওয়া গোটা এলাকাজুড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকার পুরনো ব্রীজটি ভেঙে পড়েছিল। বাধ্য হয়ে বাসিন্দারা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতেন। স্কুল পড়ুয়া থেকে বয়স্ক মানুষ—প্রতিদিন সকলকেই সেই সাঁকোর উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হত। সামান্য বৃষ্টিতেই বিপজ্জনক হয়ে উঠত রাস্তা। অবশেষে মানুষের সেই দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়ন করল সত্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েত।
এই ব্রীজ নির্মাণের কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ৩ নম্বর সত্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান চন্দন বেরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা। উপপ্রধানের কথায়, “এই রাস্তা শুধু শালডহরী নয়, কেশপুর, কুচলী, রামচন্দ্রপুর-সহ একাধিক গ্রামের মানুষের যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ পথ। মানুষের যন্ত্রণা বুঝেই এই কাজ শুরু করা হয়েছে।”
এই রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন কেশপুর, শালডহরী, কুচলী ও রামচন্দ্রপুর এলাকার মানুষজন যাতায়াত করেন সত্যপুর হাসপাতাল, মারতলা বাজার এবং ডেবরার উদ্দেশে। প্রতিদিন গড়ে হাজারেরও বেশি মানুষের চলাচল এই রাস্তা দিয়ে। নতুন ব্রীজ তৈরি হলে হাসপাতাল যাতায়াত, বাজার করা এবং জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকবে না।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/11/28/bamboo-bridge-2025-11-28-13-06-36.jpg)
এলাকাবাসীদের দাবি, এতদিন অসুস্থ রোগী নিয়ে হাসপাতাল যেতে হলেও ভয়ে ভয়ে এই সাঁকো পার হতে হত। এখন স্থায়ী কংক্রিটের ব্রীজ তৈরি হওয়ায় সেই ভয় চিরতরে দূর হবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই নতুন ব্রীজ দিয়েই স্বাভাবিক যাতায়াত শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই উদ্যোগের জন্য তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, ভোট এলেই শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, বাস্তব কাজ করে দেখিয়েছে পঞ্চায়েত। দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হওয়ায় এখন শালডহরী থেকে ডেবরা পর্যন্ত যেন নতুন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে মানুষ।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us