নিজস্ব সংবাদদাতা: পহেলগাঁও এর নির্মম হামলার পর পাকিস্থানকে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। আর এরপর থেকেই বাংলার বিভিন্ন সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় চলছে বাড়তি নজরদারি। সীমান্ত ঘেরা উত্তর দিনাজপুর জেলা। ইসলামপুর, বিন্দোল, হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জ সহ বেশ কিছু এলাকা জুড়ে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। রয়েছে সীমান্তের ওপারে ভারতীয় ভূখন্ডে চাষাবাদ। যেখানে বাংলার কৃষকরা সপ্তাহে ৭ দিন যেতেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা ৬ দিনের অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু বাংলার সীমান্ত লাগোয়া মানুষরা সাহসের সাথেই আছেন নিজেদের বাসভূমীতে।
মালন, রাধিকাপুর সহ বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষরা আতঙ্ক কাটিয়ে নিজেদের দৈনন্দিন কাজ করছেন। উত্তর দিনাজপুর জেলা এর আগেও ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে প্রতিহত করেছে পাকিস্তানকে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত সাক্ষী রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের। পাশাপাশি জেলার বাসিন্দারা সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। আজ সেই স্মৃতিই যেন উজ্জ্বল।
১৯৭১ সালের যুদ্ধে এই জেলা থেকে শ’দুয়েক ভারতীয় সেনা যোগ দেন। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ২০২১ সালে তাদের মধ্যে থেকে কুড়িজন সেনাকে কসবা পুলিশ ব্যারাকে বাংলাদেশের বিজয় মশালের সামনে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন বি.বি.দত্ত, বাদল কৃষ্ণ রায়, প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, অমর চন্দ্র ধর, রথীন্দ্রনাথ কুণ্ড, শিবেন মজুমদার, সত্যেন্দ্র নারায়ণ সাহা, অনিল কুমার সরকার, সুশীল ভৌমিক, শিশির কুমার ব্যানার্জী, দেবপ্রসাদ দাস, মিহির কান্তি সেন প্রমুখ।
ফাইল চিত্র
একাত্তরের যুদ্ধ যারা দেখেছেন তাদের মধ্যে এখনও অনেকেই এই রায়গঞ্জের মিলিটারি বাগানের সাথে পরিচিত। ভারতীয় সেনারা পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে প্রশিক্ষন, প্রস্তুতি, সবই এই শিবির থেকেই করেন। ওড়ে হেলিকপ্টারও। আর আজও তা বহন করে চলেছে যুদ্ধের স্মৃতি।