সরিয়ে দেওয়া হল বাহিনী! তুলকালাম

পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা গণনা কেন্দ্রে পৌঁছতেই সরিয়ে দেওয়া হল বাহিনীকে! এ কী কাণ্ড নদীয়ায়? ব্যাপক শোরগোল। বিক্ষোভ বিজেপির। কেন সরিয়ে দেওয়া হল বাহিনীকে, উঠছে প্রশ্ন।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
1123

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিনিধি : স্ট্রং রুমের সামনে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা 
নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়ার বালিকা বিদ্যালয়ের ভোট গণনা কেন্দ্রে। সকাল থেকেই গোটা ভোট গণনা কেন্দ্র মুড়ে রাখা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দিয়ে। কিন্তু যখনই ভোট গণনা শুরু হয় ভোট গণনা কেন্দ্রে পৌঁছায় পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এরপর প্রত্যেকটি স্টংরুমের সামনে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে দেওয়ার টাল বাহানার পর স্ট্রং রুমের সামনে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরে যেতে বাধ্য হয়। তখনই উত্তেজনা সৃষ্টি হয় গোটা গণনা কেন্দ্রে। এরপর বিজেপির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করতে শুরু করে। এছাড়াও বেশ কয়েকজন বিজেপির এজেন্ট কেন্দ্রীয় বাহিনীর পা চেপে ধরে, চলে না যাওয়ার জন্য। তবে তৃণমূলের বহিরাগতরা ভোট গণনা কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে রীতিমতো উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে।
রানাঘাটের সাংসদ বিজেপির জগন্নাথ সরকারের অভিযোগ, স্ট্রং রুমের সামনে থেকে রানাঘাট পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূপান্তর সেনগুপ্ত এবং রানাঘাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রবীর মন্ডলের নেতৃত্বে স্ট্রং রুমের সামনে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সরিয়ে একটি ঘরে তাদের রেখে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারপরই তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা ভোট গণনা কেন্দ্রের ভেতরে তাণ্ডব শুরু করে দেয়। এরফলে ভোট গণনা বন্ধ হয়ে যায়। চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
ভোট গণনা কেন্দ্রের বাইরে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
এখনো পর্যন্ত গণনা প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। ভোট গণনা কেন্দ্রের কর্মীরাও রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন। অধিকাংশ ভোট গণনা কর্মী ভোট গণনা কেন্দ্র ছেড়ে বেরিয়ে চলে আসেন নিরাপত্তাহীনতার কারণে।