কংগ্রেস ও সিপিআই(এম)-এর মধ্যে অপবিত্র সম্পর্ক- এ কি বললেন তৃণমূলের মুখপাত্র

কংগ্রেস ও সিপিআই(এম)-এর মধ্যে অপবিত্র সম্পর্ক রয়েছে বলে জানালেন তৃণমূলের মুখপাত্র রিজু দত্ত। এই দুই দলকে রাজ্যে দরকার নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।

author-image
Aniket
New Update
e

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিমঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বাজছে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চেনা ছবি ফিরে এসেছে পশ্চিমবঙ্গে। শুধুমাত্র মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি, দাঙ্গা, মৃত্যু, রক্ত এই সবকিছুর সাক্ষী হয়েছে বঙ্গের সাধারণ মানুষ। তবে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে পিছুপা হচ্ছে না। এবার রাজ্যে কংগ্রেস ও সিপিআই(এম)-এর জোট প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তৃণমূলের মুখপাত্র রিজু দত্ত। তিনি দাবি করেছেন, রাজ্যে কংগ্রেস ও সিপিআই(এম)-এর মধ্যে অপবিত্র সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেছেন, "সাধারণ নির্বাচন এবং রাজ্য নির্বাচনের লজিস্টিকস খুব আলাদা। বাংলায়, কংগ্রেস সিপিআই(এম)-এর সাথে একটি অত্যন্ত অপবিত্র সম্পর্কযুক্ত এবং তারা বিজেপির সাথে একত্রিত হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই টিএমসির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাই, রাজ্যে কংগ্রেসকে সাহায্য করার এবং বাংলায় তাদের সাথে জোটে থাকার প্রশ্নই আসে না। আমাদের বাংলায় তাদের দরকার নেই। কিন্তু জাতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে, এই কেন্দ্রের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সকল সমমনা, ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির একত্র হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। জনবিরোধী, ভারতবিরোধী, সংবিধানবিরোধী বিজেপিকে হারাতে জাতীয় ক্ষেত্রে সমমনা সব দল একত্রিত হচ্ছে"। এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে রিজু দত্ত স্পষ্টই বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের সঙ্গে জাতীয় ক্ষেত্রে হাত মেলালেও রাজ্যে কংগ্রেস ও তৃণমূলের বিরোধিতা থাকবে। এছাড়াও রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হওয়া সহিংসতার বিষয়ে রিজু দত্ত বলেছেন, "বাংলায় সহিংসতা হলে, মণিপুরে কি অমৃতকাল চলছে? যদি তারা বলে যে বাংলা জ্বলছে এবং টিএমসি মনোনয়নের অনুমতি দেয়নি, তাহলে বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিআই(এম) কিভাবে সম্মিলিত ভাবে দেড় লক্ষ মনোনয়ন দাখিল করেছে? যেখানে তৃণমূল দাখিল করেছে ৮৫,০০০ মনোনয়ন। তারা এই বিষয়ে কিভাবে ব্যাখ্যা করবে?  তারা তাদের মিথ্যার বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে। সেন্ট্রাল ফোর্স, কেজিবি বা এমআই-৬ যাই হোক না কেনও, তারা পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিততে পারবে না। বাংলার মানুষ বিরোধীদের সাথে নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে"। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই প্রাণ গিয়েছে একাধিক মানুষের। যাদের মধ্যে বিরোধী দলগুলির সঙ্গে শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরাও রয়েছে। প্রকাশ্যে পুলিশের সামনেই চলেছে বোমাবাজি, গুলি। পুলিশ কার্যত নিষ্ক্রিয় দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। এই পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের তরফে রাজ্য পুলিশের ওপরেই ভরসা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।