নিজস্ব সংবাদদাতা: গত বছর আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর গোটা রাজ্য জুড়ে যে আন্দোলন হয়, তার অগ্রভাগে ছিলেন কয়েকজন তরুণ চিকিৎসক। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন দেবাশিস হালদার, অনিকেত মাহাতো ও আশফাকুল্লাহ নাইয়া। এবার এই তিনজনের বদলি নিয়েই উঠেছে বড় অভিযোগ—প্রতিবাদ করার 'শাস্তি' হিসেবে কি ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের এমনভাবে বদলি করা হয়েছে?
দেবাশিস হালদার একজন সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক। নিয়ম অনুযায়ী, তাঁকে একটি গ্রামীণ এলাকায় পোস্টিং দেওয়া হয়। কাউন্সেলিংয়ে হাওড়ায় পোস্টিং নিশ্চিত হওয়ার পরেও পরে বেরোনো মেরিট লিস্টে তাঁর নামের পাশে দেখা যায় মালদহের গাজোলের হাসপাতালের নাম। অভিযোগ, ৭৭৮ জনের মধ্যে একমাত্র তাঁর পোস্টিং-ই এমনভাবে বদলে দেওয়া হয়েছে, যেখানে কোনও শূন্যপদও ছিল না।
একই অভিযোগ অনিকেত মাহাতো ও আশফাকুল্লাহ নাইয়ার ক্ষেত্রেও। ৮৭১ জন পিজিটি চিকিৎসকের মধ্যে তাঁদের দু’জনের পোস্টিংই নিয়মবহির্ভূতভাবে বদলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে তিন চিকিৎসকই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন।
অনিকেত মাহাতো সরকারের পোস্টিং নির্দেশ মেনে কাজে যোগ না দিয়ে সরাসরি আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন। দেবাশিস ও আশফাকুল্লাহ কাজ শুরু করলেও জানিয়েছেন, ন্যায়বিচারের জন্য আইনি লড়াই তাঁরা চালিয়ে যাবেন। তাঁদের কথায়, “গ্রামে যাওয়ার ভয় নেই, কিন্তু অন্যায়ের কাছে মাথা নত করব না।” আদালত ইতিমধ্যে মামলা গ্রহণ করেছে। আগামী ৫ জুন শুনানি হবে এই মামলার।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us