আমরা খোলা মনেই বৈঠক করতে চাইছে, রাজ্য বুঝতে পারছে না, বিস্ফোরক আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা

আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা বলেন, আমরা খোলা মনেই বৈঠক করতে চাইছি। কিন্তু আমাদেরও কিছু দাবি আছে। যার জন্য এই আন্দোলন।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
kinjal-nanda

নিজস্ব সংবাদদাতা: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচর্যের মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখালেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা বলেন,  "খোলা মনে আমরাও আলোচনাতে বসতে চাইছি। কিন্তু আমাদের যেটা খোলা মনে আলোচনা মনে হচ্ছে, সেটা হয়তো ওনাদের খোলা মনে হচ্ছে না। কিন্তু প্রথম থেকে আমাদের দাবি পরিষ্কার। আমরা আমাদের দাবি নিয়েই কথা বলতে চাই।" প্রসঙ্গত, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, সিএমও-তে ভোর তিনটেতে মেল আসা সঠিক নয়। এই প্রসঙ্গে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা বলেন, "আমরা এমন কোনও আন্দোলন করছি না, যেখানে ৯টা অবধি আন্দোলন করে ১০টার সময় ডিনার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ছি। আমরা রাত জেগে আন্দোলন করছি। আমাদের সঙ্গে অসংখ্য মানুষ আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা সিএমও-তে মেলে পাঠিয়েছিলাম। সেই কারণেই মেল যেতে দেরি হয়ে গিয়েছিল। আমরা সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মানতে অবশ্যই চাই। কিন্তু তার আগে আমাদের দাবি মানতে হবে। আমাদের পাঁচ দফা দাবি আন্দোলনের শুরু থেকে রয়েছে। এখনও এক আছে।"

GVL

আলোচনা চেয়ে  বার্তা পাঠিয়েছিল নবান্ন। নবান্ন থেকে মুখ্যসচিবের তরফে  আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের চিঠি যায়। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে চারটে শর্ত রাখলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।  আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,  নবান্নের বৈঠকে অন্তত ৩০জন প্রতিনিধিকে যেতে দিতে হবে, পুরো বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার করতে হবে, শুধু ৫ দফা দাবি নিয়েই আলোচনা করতে হবে এবং সর্বশেষ শর্ত হল পুরো বৈঠক করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে। 

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে বসার আহ্বান করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। সুপ্রিম কোর্টেরও সেরকম নির্দেশ ছিল। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকরা সাফ জানিয়ে দেন, তাঁদের পাঁচ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন ছাড়বেন না। আন্দোলরত জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বুধবার ভোর ৩টে ৪৯ মিনিটে একটি চিঠি নবান্নে পাঠিয়েছিলেন তাঁরা। তারই উত্তর আসে বেলা ৩টা ২১ মিনিটে। সেই চিঠি মারফৎ জানা গিয়েছে, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি রাজ্য সরকার। তাঁরা আলোচনার জন্য সন্ধে ছটার মধ্যে আসতে পারেন। অন্যদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকরা ৩০ জনের প্রতিনিধি দল নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নবান্ন থেকে জানানো হয়েছে, ১২ থেকে ১৫ জনের প্রতিনিধি দল নবান্নে আসতে পারেন।

 tamacha4.jpeg