পাকিস্তানী পতাকা ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরোধিতায় তরুণজ্যোতি

কি বললেন তরুণজ্যোতি তিওয়ারি?

author-image
Aniket
New Update
tarunjyoti

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: পাকিস্তানী পতাকা ইস্যুতে এবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরোধিতায় তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি ট্যুইট করে বলেছেন,

"পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সাম্প্রদায়িক রূপকথা মুখ থুবড়ে পড়েছে।

তাই বলে দুই ভারতীয় একটি শৌচাগারের দেওয়ালে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা লাগালো — আর মমতার পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তাদের গ্রেফতার করল এই অজুহাতে যে, এটা নাকি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে?

আসুন একটু খতিয়ে দেখি:

১. যদি ওরা সত্যিই “পাকিস্তান জিন্দাবাদ” আর “হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ” বলতে চাইত, তাহলে কি তারা পতাকাটা শৌচাগারে লাগাত? এটা তো পাকিস্তানকে অপমান করার সামিল — কোনোভাবেই মহিমান্বিত করা নয়। বরং পাকিস্তানের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ পাচ্ছে এখানে, ভারতের প্রতি নয়।

২. শৌচাগারে পাকিস্তানের পতাকা লাগানো কোনোভাবেই ভারত-বিরোধী কাজ নয়। বরং এটা একধরনের ব্যঙ্গ বা বিদ্রুপ।

৩. পুলিশ বলছে, "স্বীকারোক্তি" পাওয়া গেছে। সত্যিই? আমরা জানি বাংলায় কিভাবে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয় — কোনো জোরালো প্রমাণ ছাড়া এসবের কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।

৪. প্রমাণ কোথায়? কোনো পতাকা উদ্ধার হয়েছে? কোনো স্লোগান লেখা ছিল? কোনো প্রত্যক্ষদর্শী? নাকি এটা আবারও এক চক্রান্ত, বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের ফাঁসাতে?

৫. পরিষ্কার করে বলা দরকার — শৌচাগারে পাকিস্তানের পতাকা লাগানো কোনো ভারতীয় আইনের অধীনে অপরাধ নয়। কিন্তু এটা মমতার ভোটব্যাঙ্কের কয়েকজনের অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে, যারা সেই পতাকার সঙ্গে আবেগগতভাবে জড়িত — আর সেটাই এই অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়ার আসল কারণ।

এই ঘটনা আইন রক্ষার নয়, বরং রাজনৈতিক নাটকের অংশ। ভারতীয় নাগরিকদের পাকিস্তানের পতাকা বাথরুমে লাগানোর জন্য গ্রেফতার করে তাদের “সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্রকারী” বানানো — এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক।

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ যেন তৃণমূল কংগ্রেসের মিডিয়া সেলের ভূমিকায় না নামে। আপনাদের কাজ আইন রক্ষা করা, পাকিস্তান-সহানুভূতিশীলদের আবেগ নয়।

এদিকে যাদেরকে মিথ্যে অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল, তাদেরকে গতকাল নিম্ন আদালত জামিন দিয়েছে। অথচ বামফ্রন্ট নেতা শতরূপ ঘোষ পুলিশি পোস্ট নিজের টাইমলাইনে শেয়ার করলেও, পুলিশ প্রমাণ দিতে না পারার জন্য যে আদালত জামিন দিয়েছে — সেটা নিয়ে একটি শব্দও লেখেনি।

এদেরই এক সঙ্গী, কংগ্রেস নেতা সুমন রায় চৌধুরী, গতকাল সকালে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন — নাকি ভারতীয় বায়ুসেনা সেখানে কিছু গাছ আর কাকের বাসা ধ্বংস করেছে! পাকিস্তানের ভাষাতেই কথা বলছিলেন তিনি। অথচ বালাকোটে ভারতের স্ট্রাইকের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মিডিয়া থেকে শুরু করে পাকিস্তানের বহু মন্ত্রী পর্যন্ত স্বীকার করেছেন যে ভারত একটি ভয়ংকর আক্রমণ চালিয়েছিল, এবং তারা ভয়ে আছে ভারত আবার যেন এমন না করে। যদিও কিছু পাকিস্তানি জঙ্গি নেতা সেই স্ট্রাইককে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করেছে, কিন্তু কংগ্রেস নেতা সুমন রায় চৌধুরী সেই জঙ্গিদের সুরেই কথা বলছিলেন। পরে সমালোচনার মুখে পোস্টটি ডিলিট করে দেন।

শতরূপ ঘোষের “১০০টা রূপ”-এর সবগুলোই মানুষের সামনে ধরা পড়েছে। CPM ও কংগ্রেস — এদের হিন্দু বিরোধী ও ভারত বিরোধী মনোভাব দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। এত বছর ভারতের মাটিতে রাজনীতি করেও CPM রয়ে গেছে কেবল “কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া” — কিন্তু “ভারতীয়” হতে পারেনি। কংগ্রেসের কথা তো ছেড়েই দিন"।