দিঘায় মন্দির রাজ্য সরকার তৈরি করছে না, কোন সত্য প্রকাশ্যে আনলেন শুভেন্দু

রবিবার সকালে টুইট করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, দিঘায় মন্দির পশ্চিমবঙ্গ সরকার তৈরি করছে না। এই মন্দিরটি একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি করছে।

New Update
suvendu edit .jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা:  রবিবার সকালে টুইট করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'শনিবার আমাকে "জগন্নাথ মন্দির" সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। দাবি করা হয়েছিল, এই মন্দির পশ্চিমবঙ্গ সরকার দিঘায় নির্মাণ করছে। সেই সময় আমি উত্তর দিয়েছিলাম, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই মন্দির নির্মাণ করছে না, বরং একটি "সাংস্কৃতিক কেন্দ্র" এই মন্দির নির্মাণ করছে। কারণ ভারতের সংবিধান সরকারগুলিকে  ধর্মীয় অবকাঠামো তৈরিতে করদাতাদের অর্থ ব্যয় করতে বাধা দেয়। তা সে কেন্দ্রীয় সরকার হোক বা রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা কোনও সংস্থাও ধর্মীয় অবকাঠামো নির্মাণ করতে পারে না।' 

ট্যুইটারে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'জগন্নাথ, ভগবান বলভদ্র এবং দেবী সুভদ্রার জন্য এই মন্দির নির্মাণেপশ্চিমবঙ্গ সরকার বা তার অধীনে কোনও সংস্থার আইনগত বা ধর্মীয় কোনও কর্তৃত্ব থাকতে পারে না। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, কেন্দ্রীয় সরকার বা ইউপি সরকার অযোধ্যায় রাম মন্দিরের নির্মাণ ব্যয় বহন করছে না। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের কাছ অনুদান নিচ্ছে। সেখান থেকেই মন্দির তৈরির জন্য খরচ ব্যয় করা হচ্ছে। আমার বক্তব্যকে প্রমাণ করার জন্য, আমি এই পোস্টের সঙ্গে ওয়েস্ট বেঙ্গল হাউজিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (WBHIDCO) এর টেন্ডার ও ওয়ার্ক অর্ডার নথি সংযুক্ত করেছি। সেখানে আপনারা  স্পষ্টভাবে দেখতে পাবেন, যে টেন্ডার করা কাজটিকে "জগন্নাথ ধাম সংস্কৃতি কেন্দ্র" হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।'

শুধু মন্দির তৈরির ক্ষেত্রে সরকারগুলোকে সংবিধান বেঁধে দেয়নি। কোনও মন্দির বা ধর্মীয় কোনও কথাকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবে না কোনও রাজনৈতিক দল। তবে রাজ্যের শাসক দলের সমর্থকরা একাধিকবার দাবি করেছেন, দিঘায় জগন্নাথ দেবের মন্দির রাজ্য সরকার তৈরি করছে।  অন্যদিকে, রাম মন্দির নির্মান নিয়ে গেরুয়া সমর্থকদের একই ধরনের কথা বলতে শোনা যায়। দাবি করা হয়, বিজেপি সরকারের আমলেই রাম মন্দির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।