বাণিজ্য সম্মেলনের একটা চুক্তিও বাস্তবায়িত হয়েছে? কৈফিয়ত চাইলেন শুভেন্দু

প্রতি বছর ঘটা করে বাণিজ্য সম্মেলন হয়। কিন্তু একটাও বাস্তবে রূপান্তরিত হয় না। সোমবার টুইটারে এমনটাই বার্তা দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
suvendu edit .jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা:  আগামী মঙ্গল ও বুধবার বাংলায় বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেজ সামিট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই সম্মেলনকে কটাক্ষ করে বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোমবার সকালে একটি টুইট করেন। তিনি বলেন, শুধু সম্মেলন হয়, বাস্তবে কোনও ফল পাওয়া যায় না। 

সোমবার টুইট করে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'আগামী ২১ ও ২২ নভেম্বর বিজিবিএসের ৭ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সরকারি খরচে আর একটি জাম্বুরি শুরু হবে! এই বিজিবিএস শীর্ষ সম্মেলন বাণিজ্য সংক্রান্ত নয় এবং এই সম্মেলন বিশ্বব্যাপী হওয়ার থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে। এটি শুধুমাত্র একটা  চকচকে মিথ্যা, যা বাংলার মানুষকে পরিবেশন করা হবে!'

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন,  'মুখ্যমন্ত্রী কি পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে জানাবেন, এই সম্মেলনে প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ কত? এর পরিমাণ প্রায় ১৫.৭ লক্ষ কোটি টাকা। বিজিবিএস এর আগের ৬টি সম্মেলন হয়েছে। একটা বিনিয়োগ কি বাস্তবায়িত হয়েছে? এই ধরনের বিনিয়োগের কারণে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের তালিকা সহ এটি কোথায় বাস্তবায়িত হয়েছে তা প্রকাশ করুন!'

পাশাপাশি তিনি টুইটারে লেখেন, 'পশ্চিমবঙ্গের জনগণের পক্ষ থেকে আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করি, দেওচা, পচামীর কী হয়েছিল, যেখানে তিনি ২ লক্ষ চাকরির ঘোষণা করেছিলেন, সেখানকার খনি থেকে কি এক কেজি কয়লাও তোলা হয়েছে? আর যে তাজপুর বন্দরের জন্য অনেক ধুমধাম করে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তার বর্তমান অবস্থা কী? এই শীর্ষ সম্মেলনের শেষ সংস্করণে অনেক ঢোল পিটিয়ে এই দুটি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছিল! কিন্তু একটাও কি বাস্তবায়িত হয়েছে? বিজিবিএস বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট নয়। এটি একটি ২ দিনের মমতা-নির্মিত-মরিচীকা, সচেতনভাবে পশ্চিমবঙ্গে শিল্পায়নের অনুর্বর মরুভূমিতে একটি মরূদ্যান হিসাবে দেখানো হয়। জনগণকে বারবার প্রতারিত করা হয়  যে বাংলা অর্থনৈতিক উন্নতির পথে রয়েছে।'

তিনি আরও লেখেন টুইটারে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাণিজ্যের একটা মিথ্যা জাল বোনা হচ্ছে। বিজিবিএস হল জাল এমওইউ স্বাক্ষর করা। বাংলায় ব্যবসা করার জন্য মিথ্যা আগ্রহ দেখানো। তারপর সেই চুক্তিপত্রগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়। বিজিবিএস বাস্তবে একটি দেউলিয়া রাজ্যে ব্যবসার কবরস্থানকে মুখোশ পরিয়ে রাখার কৌশল।'