রাজ্য পুলিশের বড়সড় রদবদল, SIR-এর মাঝেই প্রশাসনিক চাপানউতোর

অভিযোগের আবহেই মঙ্গলবার রাতেই নবান্ন ঘোষণা করে বড়সড় পুলিশ রদবদল।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
nabammmmma.webp

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যে যখন জোরকদমে চলছে এসআইআর (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়া, নির্বাচনী বিধি জারি হওয়ার আর যখন মাত্র তিন মাস বাকী, ঠিক তখনই রাজ্য পুলিশের উচ্চ পদস্থ মহলে ব্যাপক রদবদল করল নবান্ন। এই পদক্ষেপকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে উত্তাপ তুঙ্গে।

বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অভিযোগ, পুলিশের একটি অংশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক স্বার্থরক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে। নির্দিষ্টভাবে তিন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে তিনি চিঠি পাঠান প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের কাছে। ঠিক এই অভিযোগের আবহেই মঙ্গলবার রাতেই নবান্ন ঘোষণা করে বড়সড় পুলিশ রদবদল।

যাদের বদলি করা হল, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন - 

police

* অরিজিৎ সিনহা — ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার থেকে মেদিনীপুর রেঞ্জের ডিআইজি
* বৈভব তিওয়ারি — বাঁকুড়া থেকে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার
* অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় — পুরুলিয়া থেকে মালদহের পুলিশ সুপার
* প্রদীপ কুমার যাদব — মালদহ থেকে উত্তর দিনাজপুর ট্র্যাফিক বিভাগে
* ওয়াই রঘুবংশী — আলিপুরদুয়ার থেকে জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার
* ধৃতিমান সরকার — পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে রাজ্যের এসএসআইবি
* উপেশ জ্ঞানপত — জলপাইগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার
* মহম্মদ সানা আখতার — রায়গঞ্জ থেকে আসানসোল–দুর্গাপুর কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার
* ড. সোনাওয়ানে কুলদীপ সুরেশ — এসএসআইবি থেকে রায়গঞ্জ পুলিশ সুপার
* সৌমদীপ ভট্টাচার্য — পূর্ব মেদিনীপুর থেকে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার
* মনভ সিংলা — নিউটাউন থেকে ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার
* পলাশ চন্দ্র ঢালি — বারুইপুর থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার
* শুভেন্দ্র কুমার — পূর্ব মেদিনীপুর থেকে বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানের ভিডিও প্রকাশ্যে এনে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন— কিছু পুলিশ অফিসার প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাওয়ার কথা বলেছেন। তাঁর দাবি, এই অবস্থান পুলিশের নিরপেক্ষতার পরিপন্থী।

সরকারি সূত্রের দাবি, এই রদবদল সম্পূর্ণ রুটিন এবং এর সঙ্গে রাজনৈতিক চাপ বা অভিযোগের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ প্রশাসনে এমন ধারাবাহিক বদলি নিছক কাকতালীয় নয়।