/anm-bengali/media/media_files/2025/04/12/9yGcw0EGIJ8GCgVGE99b.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: ইন্টারভিউয়ে ডাকা চাকরিপ্রার্থীদের তালিকায় দাগি প্রার্থীদের নাম উঠে আসতেই প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছিল। বিষয়টি প্রথমে পৌঁছয় কলকাতা হাইকোর্ট-এ। সেখানেই কড়া নির্দেশ দিয়ে আদালত জানিয়ে দেয়, কোনওভাবেই দাগি প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রাখা যাবে না। কিন্তু তাতেও জল্পনা থামেনি। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট-এ। দেশের সর্বোচ্চ আদালতও রাজ্যকে কড়া বার্তা দিয়ে জানিয়ে দেয়, কোনও অজুহাতেই যেন কোনও দাগি চাকরিপ্রার্থী নিয়োগের প্রক্রিয়ায় ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট আরও স্পষ্ট করে জানায়, বিশেষভাবে সক্ষম হলেও যদি কেউ দাগি হন, তা হলে কোনওভাবেই তিনি চাকরির সুযোগ পাবেন না। আদালতের তরফে তখনই নির্দেশ দেওয়া হয়, স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বিস্তারিতভাবে সমস্ত দাগি প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সেই নির্দেশ ঘিরেই ফের চাপ বাড়ে রাজ্যের উপর এবং তীব্র নজরের মুখে পড়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/OnBSWHA2tIfz3FEhvvtY.jpg)
এই আবহেই সাংবাদিক বৈঠকে মুখ খুলতে দেখা যায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু-কে। সেখানে তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশন-এর ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে জানান, আদালতের নির্দেশ মেনেই সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে নিয়োগের কাজ হচ্ছে। তাঁর দাবি, চলতি মাসের শেষেই কোর্টের নির্দেশ মেনে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত সময় লাগলে কমিশন আদালতের কাছ থেকে অনুমতি চাইবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, খুব শিগগিরই দাগি প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকাও প্রকাশ করা হবে। তাঁর কথায়, সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে যে কোনও দাগি প্রার্থীকে রাখা যাবে না এবং সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে এসএসসি। সেই কারণেই আজই বা খুব শিগগিরই দাগিদের সম্পূর্ণ তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
এই পরিস্থিতিতে এখন নজর গোটা রাজ্যের চাকরিপ্রার্থী মহলের। দাগিদের তালিকা প্রকাশ হলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসবে কি না, সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us