/anm-bengali/media/media_files/2025/07/31/sir-2025-07-31-20-49-11.jpg)
File Picture
নিজস্ব সংবাদদাতা: মঙ্গলবার থেকে শহরে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকার নিবিড় পরিমার্জন (এসআইআর)। বাড়ি বাড়ি Enumeration Form নিয়ে নামতে শুরু করেছেন বিএলওরা। আগামী এক মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নাগরিকদের ওই ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে বলা হয়েছে এবং সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি আনতে বলা হয়েছে — আর সেই নথির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে জন্ম শংসাপত্র।
কলকাতা পুরসভার কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, এসআইআর ঘোষণা আগের দিনে দৈনিক জন্ম শংসাপত্রের জন্য প্রায় ৩০০টি আবেদন পড়ত। তবে পরিমার্জন শুরু হওয়ার পর থেকেই জন্ম শংসাপত্র তোলার হিড়িক পড়েছে — প্রতিদিন পুরসভা ও সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা পড়ছে সাড়ে পাঁচশোর বেশি আবেদন। শুধু নতুন শংসাপত্রের আবেদন নয়, জন্মনামের বানান ঠিক করা, জন্মতারিখ সংশোধনসহ নানা ধরনের সংশোধনমূলক আবেদনও ব্যাপকভাবে বেড়েছে। গত দু’সপ্তাহে এসব আবেদনে প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গেছে, আর কাজ সামলাতে গিয়ে পুরকর্মীরা নাজেহাল।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/08/31/voter-list-application-2025-08-31-21-28-18.jpg)
এই পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “আগে এত আবেদন জমা পড়ত না। সবটাই অনলাইনে হত। হঠাৎ করে প্রচন্ড লাইন পড়ছে। মানুষের মধ্যে এই জন্ম শংসাপত্র নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই সব বিজেপির কাজ। ওরা আগে ইডি-সিবিআই দিয়ে আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি। এখন সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে”।
নাগরিকদের বাড়তি ভিড় ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার চাপের মধ্যে পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে প্রয়োজন অনুযায়ী মানুষের সাহায্যের জন্য অতিরিক্ত কাউন্টার বা বিশেষ সুবিধা চালু করা হতে পারে। তবে জন্ম শংসাপত্র সংক্রান্ত কাজ দ্রুত ও সঠিকভাবে করার তাগিদও দেওয়া হয়েছে যাতে ভোটার তালিকার পরিমার্জনের ফলে কেউ অনাহূতভাবে ভোটার তালিকা থেকে বাদ না পড়েন।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us