/anm-bengali/media/media_files/UNn8JczIhdsgN1pExYf0.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: শীত নামার আগেই প্রকৃতির চেহারা পাল্টে গেল। নিম্নচাপের একের পর এক বাধা কেটে যাওয়ার পর যখন অবশেষে শীতের হাওয়া বাংলায় ঢুকতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই বঙ্গোপসাগরের দিক থেকে নতুন বিপদের ইঙ্গিত দিল হাওয়া অফিস। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। মালাক্কা প্রণালীতে ইতিমধ্যেই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে এবং নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে সেটি ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না আবহবিদরা।
বাংলায় যদিও এই নিম্নচাপের সরাসরি কোনও প্রভাব পড়বে না, তবে বাতাসের দিক ও গতিতে বড় পরিবর্তন হতে পারে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় পর্যটক ও মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা পৌঁছে গিয়েছে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2024/12/11/1000125542.jpg)
এদিকে বাংলায় ধীরে ধীরে শীতের আমেজ ফিরছে। কয়েকদিনের উষ্ণতা ও আর্দ্রতার পর বাতাস আবার ঠান্ডা হয়ে উঠছে। শনিবার সামান্য নেমেছে তাপমাত্রা এবং আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে আরও দুই ডিগ্রি কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কলকাতায় ন্যূনতম তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে, আর পশ্চিমের জেলাগুলিতে পারদ ইতিমধ্যেই ১৪ থেকে ১৬ ডিগ্রি ছুঁয়েছে।
ডিসেম্বরের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে শহর জুড়ে সকালের কুয়াশা ও রাতের শিশির পড়ার সম্ভাবনাও বাড়ছে। উত্তরবঙ্গেও আপাতত আবহাওয়া শুষ্ক থাকলেও কিছু পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে দার্জিলিং ও কালিম্পং-এর কিছু অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টি হতে পারে।
শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.২ ডিগ্রি। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৪২ থেকে ৯০ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে।
শীতের আগমনী সুর বাজতেই প্রকৃতি ফের খেলতে শুরু করেছে নিজের খেলা। নিম্নচাপ–ঘূর্ণিঝড়–বাতাসের বদল—সব মিলিয়ে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে আবহাওয়ার মোড় ঘুরবে বলেই মত আবহবিদদের।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us