New Update
/anm-bengali/media/media_files/2025/03/11/7J79xzlUe2fCTzHKAH8P.jpg)
ফাইল চিত্র
ফাইল চিত্র
নিজস্ব সংবাদদাতা: রঙের উৎসবে (Holi Festival) পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে বন্ধ (Lake Closure) থাকছে রবীন্দ্র সরোবর (Rabindra Sarobar)। তবে অভিযোগ উঠেছে, সরোবরে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ হলেও একাধিক ক্লাবের সদস্যদের ঢোকার অনুমতি (Exclusive Access) দেওয়া হয়েছে। এই পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সরোবরের গেটের সামনে বিক্ষোভে (Protest Against Entry Rules) সামিল হন সরোবরপ্রেমী ও প্রাতঃভ্রমণকারীরা। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) এবং কলকাতার নগরপাল মনোজ ভার্মাকে (Kolkata Police Commissioner) ইমেলের মাধ্যমে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, ছটপুজোর (Chhath Puja) মতোই রঙের উৎসবের জন্য আগামী শুক্রবার ও শনিবার রবীন্দ্র সরোবর বন্ধ রাখা হবে। পরিবেশ আদালতের (Green Tribunal) নির্দেশ অনুযায়ী, লেকের জল সংরক্ষণের স্বার্থে কেএমডিএ (KMDA) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সরোবর চত্বরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কিন্তু বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, কারণ অভিযোগ অনুযায়ী, ক্লাবগুলির (Elite Clubs) সদস্যদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যা স্পষ্টতই পক্ষপাতিত্ব (Unfair Rules)। সরোবরপ্রেমী আন্দোলনকারীরা বলছেন, আইন যদি সকলের জন্য সমান হয়, তাহলে ক্লাব সদস্যদের বিশেষ সুবিধা কেন?
এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে পরিবেশকর্মী ও সরোবরপ্রেমীরা (Environment Activists) সরোবরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের হাতে ছিল পোস্টার ও প্রতিবাদী বার্তা। আন্দোলনকারীদের দাবি, রবীন্দ্র সরোবর রক্ষার জন্য তাঁরা বরাবরই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এবং কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার মত বদল করাতে বাধ্য করেছেন। এবারের ঘটনাতেও তাঁরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন। তাঁদের অভিযোগ, যেহেতু ক্লাবগুলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে, তাই আমন্ত্রণপত্র (Invitation Letter) পাঠানো হয়েছে সদস্যদের, যা আন্দোলনকারীদের কাছেও রয়েছে। তাহলে যদি কেএমডিএ অনুমতি না দিয়ে থাকে, তবে কীভাবে ক্লাবগুলি আমন্ত্রণ জানাতে পারল?
এদিকে, কেএমডিএ-র এক আধিকারিক দাবি করেছেন, “আমরা পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে রবীন্দ্র সরোবর বন্ধ রাখছি। কারও জন্য আলাদা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না।” কিন্তু আন্দোলনকারীরা বলছেন, যদি ক্লাব সদস্যরা সরোবরে প্রবেশ করে, তাহলে লেকের জলের মান (Water Pollution) নষ্ট হবে, এবং এটি দেখে আরও সাধারণ মানুষও সরোবরে প্রবেশ করতে চাইবেন। এর ফলে জলজ প্রাণী, উদ্ভিদ, এবং সামগ্রিক পরিবেশের ক্ষতি হবে।
বিগত বহু বছর ধরে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি বলেই আন্দোলনকারীদের দাবি। তাই এবছরের নিয়মভঙ্গের (Violation of Rules) বিরুদ্ধে তাঁরা সরব হয়েছেন। এখন দেখার, প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয়!