সিইও দফতরের সামনে উত্তাল বিক্ষোভ, মৃত বিএলও পরিবারদের ক্ষোভে উত্তপ্ত পরিস্থিতি

অভিযোগ সকাল থেকেই অপেক্ষা করলেও সিইও তাঁদের সঙ্গে দেখা করছেন না।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
breaking new 1

নিজস্ব সংবাদদাতা: এসআইআর কর্মসূচি চলাকালীন পরপর বিএলও মৃত্যুর ঘটনার জেরে উত্তাল হয়ে উঠল সিইও দফতরের চত্বর। বৃহস্পতিবার সিইও অফিসের সামনে বিশাল জমায়েত করলেন তৃণমূলপন্থী বিএলও সংগঠন। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে মুখোমুখি আলোচনা করতে হবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের সঙ্গে। সেই দাবিকে কেন্দ্র করেই বিক্ষোভ, স্লোগান, এবং পুলিশের সঙ্গে তীব্র ধস্তাধস্তিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সকাল থেকেই অপেক্ষা করলেও সিইও তাঁদের সঙ্গে দেখা করছেন না। এক বিএলও ক্ষোভ উগরে বলেন, “ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে রয়েছি। মৃত বিএলও-দের পরিবারের সদস্যরা এসেছেন। তাহলে কেন সিইও দেখা করবেন না? উনি কী ভিআইপি হয়ে গেলেন?”

পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ আরও তীব্র। দিঘার মৃত বিএলও জাকির হোসেনের আত্মীয় বলেন, “আমার দাদা স্কুলের কাজের পাশাপাশি এসআইআরের বাড়তি দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে মানসিক ও শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। সেই চাপই তাঁর মৃত্যুর কারণ। ক্ষতিপূরণ এবং সঠিক তদন্তই আমাদের দাবি”।

sir voter list

গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে একের পর এক বিএলও মৃত্যুর খবর উঠে আসছে। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থেকে জলপাইগুড়ির মালবাজার—সব জায়গাতেই একই চিত্র। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী শান্তিমুনি ওরাঁওয়ের আত্মহত্যার ঘটনাও রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। পরিবারের দাবি, এসআইআর কর্মসূচির চাপই তাঁকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছিল।

এদিন পুলিশের বাধা পেয়ে বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়। বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি — “ডেপুটেশন দিতে না দিলে আন্দোলন চলবে। পরিকল্পনাহীন এসআইআর কোনওভাবেই চলতে পারে না”।

এসবের মাঝে প্রশ্ন উঠছে—পরপর মৃত্যুর পরও কেন নড়ছে না কমিশন? বিএলও-দের নিরাপত্তা, কাজের চাপ, এবং পরিকল্পনার খামতির অভিযোগে ক্রমেই বাড়ছে ক্ষোভ। এখন দেখার, দাবি-দাওয়ার মুখে নির্বাচন কমিশন কী পদক্ষেপ নেয়।