/anm-bengali/media/media_files/2025/04/28/BugrCE9ia4gtmQ6NM8BY.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: বত্রিশ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি থাকবে কি যাবে—এই প্রশ্নেই এত দিন উদ্বেগে ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। অবশেষে সেই জল্পনার অবসান ঘটাল কলকাতা। আজ দুপুর দু’টো নাগাদ রায় ঘোষণা করে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, বত্রিশ হাজার শিক্ষকের চাকরি বহাল থাকছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। এরপর টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে দুই দফায় নিয়োগ প্রক্রিয়া চলে। সেই সময় প্রায় ৪২ হাজার ৫০০ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। পরে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে এবং বিষয়টি আদালতে যায়।
২০২৩ সালের ১২ মে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশিক্ষণহীন বত্রিশ হাজার শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশকে ঘিরেই শুরু হয় আইনি টানাপোড়েন।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/02/20/MwnIYN2I5Mb3FXvN1ROI.jpg)
মামলাকারীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, ২০১৬ সালের নিয়োগে আইন মানা হয়নি, সংরক্ষণ নীতিও ঠিকমতো মানা হয়নি। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও সিলেকশন কমিটি ছিল না বলেও অভিযোগ ওঠে। বলা হয়, থার্ড পার্টি এজেন্সি দিয়ে প্যানেল তৈরি করানো হয়েছিল। অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়নি, তার কোনও নির্দিষ্ট গাইডলাইনও ছিল না। অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে কিছু প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়। আরও অভিযোগ ছিল, শূন্যপদের চেয়েও বেশি নিয়োগ হয়েছে এবং ন্যূনতম যোগ্যতা না থাকা প্রার্থীরাও চাকরি পেয়েছেন।
তবে রাজ্য সরকার ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এই মামলায় দুর্নীতির অভিযোগ মানতে চায়নি। রাজ্যের পক্ষ থেকে বলা হয়, কোনও দুর্নীতির প্রমাণ নেই। যদিও কিছু অনিয়ম হয়েছিল বলে স্বীকার করা হয় এবং পরে তা সংশোধন করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
সব দিক শুনেই অবশেষে আজ বত্রিশ হাজার শিক্ষকের চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দিল আদালত। এই রায়ের পর স্বস্তিতে হাজার হাজার শিক্ষক ও তাঁদের পরিবার।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us