সাহেবের নাম বলতে চাপ দেয়নি! মুখ খুললেন 'কালীঘাটের কাকু'

বুধবার সকালে জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কে। ইডি হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর কাছে কী কী বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, বেরোনোর সময় তা জানতে চাওয়া হয়।

author-image
Anusmita Bhattacharya
আপডেট করা হয়েছে
New Update
sujayed1

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য কোনও চাপ দেওয়া হয়নি। বুধবার দাবিই করলেন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। জানিয়েছেন যে ‘সাহেব’- এর নাম নেওয়ার জন্য তাঁকে কোনও চাপ দেওয়া হয়নি।

এর আগে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ পুলিশ এবং কলকাতা হাইকোর্টে লিখিতভাবে অভিযোগ জানান যে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা তাঁর উপর চাপ দিচ্ছেন। তারপর আদালতের অনুমতিতেই সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিষেককে। তবে সুজয় জানান যে অভিষেক প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তাঁর নাম বলার জন্য কোনও রকমের চাপ দেওয়া হয়নি।

বুধবার বিচার ভবনে হাজিরা দেন ধৃত সুজয়। তার আগেই হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। ইডি হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর কাছে কী কী বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, বেরোনোর সময় তা জানতে চায় সংবাদ মাধ্যম। জবাবে সুজয় বলেন যে সবই জানতে চাওয়ার পর তিনি সব বললেন। অভিষেকের বিষয়ে কিছু জানতে চাওয়া হয়েছে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন করলে সুজয় জবাব দেন যে হ্যাঁ করেছে। কিন্তু তদন্তকারীরা কোনও রকমের জোর করেননি।

এর আগে কুন্তল দাবি করেছিলেন যে অভিষেকের নাম নেওয়ার জন্য তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। জানা যায় যে প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন কুন্তল। সেই অভিযোগ হেস্টিংস থানায় পৌঁছে দেওয়া হয়। কুন্তলের এই দাবির আগে শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেক জানান যে হেফাজতে থাকার সময়ে মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকে তাঁর নাম নিতে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর কুন্তলও একই অভিযোগ করেন। তা নিয়েই কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন যে প্রয়োজনে অভিষেককে জেরা করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই রায় বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হাও।

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তলের সূত্রেই ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা সামনে আসে। অন্যতম অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলও সিবিআইয়ের কাছে দাবি করেন যে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময় কুন্তল নাকি আশ্বাস দিয়ে বলতেন যে কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে কথা হয়েছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই। পরে গোপাল দলপতি এবং তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, কুন্তলের ওই 'কালীঘাটের কাকু' রাজ্যের এক প্রভাবশালী শীর্ষ নেতার সংস্থার চিফ এগ্‌জ়িকিউটিভ অফিসার (সিইও) পদে রয়েছেন। সেখান থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ‘আতশ কাচের তলায়’ আসেন সুজয়।