/anm-bengali/media/media_files/iNuKtnAjgYQNFIDc65Kd.jpg)
ফাইল ছবি
নিজস্ব সংবাদদাতা: অন্য এক বিচারপতিকে নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার এক মামলার শুনানিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নাম না নিয়েই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কিছু রাজনৈতিক নেতা আদালতের নামে উল্টোপাল্টা বলেন। তাঁদের শ্রদ্ধা করি না।’’ এর পরই তাঁর মুখে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা। মমতার নাম না নিয়ে বারের সম্পাদক বিশ্বব্রত বসু মল্লিকের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'সুপ্রিমো এমন কথা বলেন না। তাঁকে দেখেছি, বিচারপতিদের সম্মান করেন। খুবই সহজ সরল মানুষ। দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ। অনেক নেতা-মন্ত্রীও আদালত সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেন না'। অতীতেও অবশ্য মমতাকে নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। একবার বলেছিলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী ভাল কাজ করছেন। আমি কেন খারাপ কথা বলব? আমাকে বলতে বাধ্য করা হচ্ছে'। এই আবহে নাম উল্লেখ না করেই এক নির্বাচিত সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসমক্ষে করা মন্তব্যকে কেন্দ্র করে মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা যেভাবে করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, তা নতুন মাত্রা যোগ করল।
পঞ্চায়েত ভোটের পর রাজনৈতিক সংঘর্ষে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের ১৪ জন জখম তৃণমূল কর্মীকে এসএসকেএমে দেখতে যান অভিষেক। শুক্রবার সেখান থেকে বেরোনোর সময়ে হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়েই বিচারব্যবস্থার একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘‘বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সমাজবিরোধীদের রক্ষাকবচ দিচ্ছেন'।অভিষেক এ-ও দাবি করেন যে যদি এই বক্তব্যের জন্য তাঁকে আদালত অবমাননার দায়ে জেলে যেতে হয়, তা হলে তিনি ১০ হাজার বার জেলে যেতেও রাজি। কিন্তু তিনি সত্য বলবেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দেওয়ার কারণে বিচারপতি মান্থার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন তিনি। অভিষেকের এই মন্তব্য ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। অভিষেকের সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লেখেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। অভিষেকের এই মন্তব্য নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সিপিএম নেতা এবং আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তৃণমূল সাংসদের নাম না করে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এবার লিখিত অভিযোগ জানাতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি। এই আবহে মুখ খুললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us