/anm-bengali/media/media_files/2025/04/28/BugrCE9ia4gtmQ6NM8BY.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: শহরের নামী দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতে ফের ইডির অভিযান। মঙ্গলবার সকালে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে তল্লাশি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সকাল সাতটা নাগাদ বেলেঘাটার ৭৫ নম্বর হেমচন্দ্র নস্কর রোডে হানা দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ জন ইডি আধিকারিক কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে পৌঁছন ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে। তবে বাড়ির লোহার গেট বন্ধ থাকায় প্রথমে দীর্ঘক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করতে হয় তাঁদের। বহুবার ডাকার পরও সাড়া না মেলায় পাশের আবাসনের এক নিরাপত্তারক্ষীর সহায়তায় খোলা হয় দরজা। এরপরই বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন তদন্তকারীরা।
সূত্রের খবর, পুর দুর্নীতির তদন্তেই এই অভিযান। শুধু বেলেঘাটা নয়, এদিন কলকাতার আরও চারটি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। পুর নিয়োগ সংক্রান্ত অর্থ লেনদেন ও সম্ভাব্য লিঙ্কম্যানদের খোঁজে এই অভিযান বলেই জানা গিয়েছে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/tCbJD2uUl5TRaIq3l7ng.jpg)
তদন্তকারীদের নজরে এসেছেন দুই ভাই — বিশ্বজিৎ চৌধুরী ও রণজিৎ চৌধুরী। বিশ্বজিৎ পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী, আর রণজিৎ যুক্ত রয়েছেন নির্মাণ ও রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গে। রণজিৎ জানিয়েছেন, “আমরা দুই ভাই ব্যবসায়ী। আমার ১৯৯৬ সাল থেকে কনস্ট্রাকশন ব্যবসা চলছে। পুরীতেও দু’টি হোটেল খুলেছি। কেন এই তদন্ত চলছে, কিছুই জানি না। এখনও পর্যন্ত ওঁরা কিছু জানাননি”।
উল্লেখযোগ্যভাবে, কয়েকদিন আগেই ইডি হানা দিয়েছিল রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান নিতাই দত্তের বাড়িতে। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছিল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি, ডিজিটাল ডিভাইস ও হিসাব দিতে না পারা ৪৫ লক্ষ টাকা।
তদন্তকারীদের অনুমান, আগের অভিযানের সূত্র ধরেই মিলেছে নতুন ক্লু। সেই সূত্রেই এবার ইডি নামছে পুর দুর্নীতির সম্ভাব্য নেটওয়ার্ক উন্মোচনে। যদিও ইডি এখনো পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
তবে একাধিক হানা ও তদন্তের ধারাবাহিকতা ইঙ্গিত দিচ্ছে — পুর দুর্নীতির মামলায় এবার আরও বড় জাল ফাঁস হতে চলেছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us