'কালীঘাটের কাকু' কি আদৌ অসুস্থ? বড় তথ্য ফাঁস করল ED

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহুদিন হয়ে গেল গ্রেফতার হয়েছেন 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এর মধ্যেই আবার সুজয়বাবুর শরীর খারাপ হয় এবং এবার সেই অসুস্থতা নিয়ে বড় তথ্য দিল ইডি।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
sujayk

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা: 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর অসুস্থতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করল ইডি। এসএসকেএম হাসপাতালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের। 'এসএসকেএম হাসপাতালের রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল মারাত্মক অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশেই তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ভুবনেশ্বরের এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়। দেখা যায় তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ', আদালতে সওয়াল ইডির। বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে কেন? এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে অসুবিধা কী? প্রশ্ন তুলল ইডি। তিনি কি আগে সেখানে চিকিৎসা করিয়েছেন বা তাঁর চিকিৎসক কি সেখানে বসেন? প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের।

সম্প্রতি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর স্ত্রী প্রয়াত হন। তারপর স্ত্রীর পারলৌকিক কাজের জন্য প্যারোলের মেয়াদ শেষে জেলে পা রেখেই অসুস্থ হয়ে যান সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। স্ত্রীর পারলৌকিক কাজের জন্য ১৬ জুলাই পর্যন্ত প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু। ১৭ জুলাই তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই অসুস্থ বোধ করেন তিনি। জেলের হাসপাতালে প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেই তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। জেল কর্তৃপক্ষ দাবি করে যে ইডি আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সুজয়কৃষ্ণ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে জেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা করে দেখা যায় তাঁর রক্তচাপ ওঠানামা করছে। রক্তে অক্সিজেন স্যাচুরেশনও ছিল কম। এর পর তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন জেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা। বেলা ১১টা নাগাদ তাঁকে জেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা শুরু হয়।

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তুলে ধরেছে ইডি। অভিযোগ, বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে চাকরি বিক্রির কালো টাকা সাদা করেন তিনি। সঙ্গে নিজেও ব্যবসায়ও সেই টাকা বিনিয়োগ করেছেন। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সুজয়বাবুর নাম প্রথম সামনে আনেন গোপাল দলপতি। পরে তাঁকে জেরা করার জন্য তলব করে ইডি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের পুরনো কর্মী হলেন সুজয়কৃষ্ণ। বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে কালীঘাটের কাকুকে একাধিকবার তলবের জন্য ডাকে সিবিআই। একবার সিবিআই জিজ্ঞাসবাদের মুখোমুখিও হন তিনি। স্ত্রীর অসুস্থতার কথা বলে একাধিকবার জেরা এড়িয়ে গেছেন তিনি। পরবর্তীকালে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডিও। তল্লাশির পর ফের সুজয়কৃষ্ণকে তলব করার পর শেষমেশ তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি।