ED-র হাতে আরও এক 'রহস্যময়' ডায়েরি! জ্যোতিপ্রিয়র সব ফাঁস?

রেশন সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা এবার আরো এক ডায়েরি খুঁজে পেল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি।তাতে অনেক হিসেব পাওয়া গেছে। আর কী কী রয়েছে তাতে? মিলল সব তথ্য।

author-image
Anusmita Bhattacharya
আপডেট করা হয়েছে
New Update
jyotipriyo-mullick

নিজস্ব সংবাদদাতা: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক ডায়েরি। কিছুদিন আগেই রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিত্‍ দাসের কাছ থেকে পাওয়া যায় এক মেরুন ডায়েরি। ইডির হাতে আসা সেই মেরুন ডায়েরিতে বেশ কিছু টাকার লেনদেন সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় বলে জানা গিয়েছিল। সেই ডায়েরি নিয়েই যখন জোর চৰ্চা সেই সময় উদ্ধার করা হল আরও এক রহস্যময় ডায়েরি।

শনিবার বনগাঁয় দুই চালকল ও গমকল ব্যবসায়ীর মিল ও বাড়িতে চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে ইডি নথির সঙ্গে বাকিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকেও এক ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে। যেই ডায়েরি থেকেও বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে তাদের। ধৃত বাকিবুর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর গমকল থেকে পাচার হওয়া চোরাই চাল ও আটা কোন পদ্ধতিতে ডিস্ট্রিবিউটর ও রেশন ডিলারদের কাছে পাচার করা হত সেই সমস্ত বিষয়ের স্পষ্ট উল্লেখ করা রয়েছে ওই ডায়েরিতে। তদন্তকারীরা অভিযোগ করছে যে বাকিবুর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের গমকল থেকে গম ভাঙানোর পর তার ৩০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত আটা বাইরে পাচার করে দেওয়া হত। সেই চোরাই আটা বাকিবুরের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের প্যাকেজিং সংস্থায় যেত। সেই আটাই পড়ে প্যাকেট করে সারা রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে পাঠিয়ে দেওয়া হত। তদন্তে জেলার ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে কীভাবে চোরাপথে চাল, আটা কেনা হয়েছে, কত পরিমাণ চোরাই দ্রব্য কত দামে কেনা হয়েছে, কোন কোন ব্যবসায়ীর কাছে ওই সামগ্রী পাঠানো হয়েছে সেই সবকিছুর উল্লেখ রয়েছে। তাতে আবার উল্লেখ রয়েছে টাকার হিসেবেরও।

পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এক ডজন ব্যবসায়ীদের তালিকাও ইডি তৈরী করে ফেলেছে বলে জানা গেছে। কয়েকজন প্যাকেজিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের নাম পাওয়া গেছে সেই তালিকায়। রয়েছে বেশ কিছুজন রেশন ডিলারের নামও। চলতি সপ্তাহেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে আবার জানা গেছে যে জেলার যেই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ডায়েরিটি পাওয়া গেছে, তিনি ইডি জেরায় নিজের মুখে সমস্ত বিষয় স্বীকার করে নিয়েছেন। চাল বা গম কেনাবেচার লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও গত দশ বছর ধরে তিনি বেআইনিভাবে রেশনের জিনিস কেনাবেচা করছেন। রেশন ডিলারদের মধ্যে দিয়ে চাল ও গম কিনে বাইরে খোলা বাজারে ব্যবসায়ীদের বিক্রি করতেন বলেও তিনি জেরায় স্বীকার করে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।