/anm-bengali/media/media_files/2024/10/24/HYAu5Ojpvv4gsmsJN413.jpg)
File Picture
নিজস্ব সংবাদদাতা: উৎসবের মরসুমে ফের আবহাওয়ার ভ্রুকূটি। বঙ্গোপসাগরের বুকে নতুন ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।থাইল্যান্ডের দেওয়া নাম ‘মন্থা’। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী সোমবার অর্থাৎ ২৭ অক্টোবরের মধ্যেই জন্ম নিতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। ফলে বাংলার আকাশে ফের কালো মেঘের ঘনঘটা, সঙ্গে বৃষ্টির আশঙ্কাও জোরালো হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে একটি নিম্নচাপ। যদিও তা আপাতত দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। ধীরে ধীরে সেটি শক্তি সঞ্চয় করে দক্ষিণ-পূর্ব সাগরে মিশে গিয়ে নতুন নিম্নচাপের জন্ম দেবে। সেই নিম্নচাপই রবিবারের মধ্যে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে পূর্বাভাস।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি ঘূর্ণিঝড়টি সোজাসুজি উপকূলের দিকে অগ্রসর হয়, তাহলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে। সেক্ষেত্রে বাংলা কিছুটা রেহাই পেতে পারে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ যদি পরিবর্তন হয়, তাহলে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা প্রবল।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/04/27/6QrQ4WaIC2lL27k9EOft.webp)
এদিকে মৌসম ভবন এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্ত গতিপথ সম্পর্কে কোনও নিশ্চিত তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে সতর্ক করে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহের শুরু থেকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে শুক্রবার শহর কলকাতায় আকাশ থাকবে তুলনামূলকভাবে পরিষ্কার। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে প্রায় ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর্দ্রতা সর্বাধিক ৯১ শতাংশ ও সর্বনিম্ন ৪৪ শতাংশের আশপাশে থাকবে।
আবহবিদদের একাংশের মতে, মন্থা যদি উত্তর-পূর্বমুখী পথে ঘুরে আসে, তাহলে দীপাবলির পরেই ফের ঝড়-বৃষ্টিতে ভিজবে বাংলা। এখনই চূড়ান্ত বলা না গেলেও, প্রস্তুতি নেওয়ার সময় এসেছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us