খিদিরপুর বাজারের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিত নয়।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
cm khidirpur

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ বাজারে রবিবার মাঝরাতে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় অন্তত ১৩০০টি দোকান। ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, রাতভর দমকলের ২০টি ইঞ্জিন অক্লান্ত চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দিয়ে তিনি ঘোষণা করেন, ক্ষতিপূরণ হিসেবে পুরোপুরি পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর জন্য ১ লক্ষ টাকা, আর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর জন্য ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, সরকারের পক্ষ থেকে অস্থায়ী বাজার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সেখানেই সাময়িক ভাবে দোকান চালানোর সুযোগ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “বাজার সরাতে হবে। অন্য একটি জমি বেছে রাখা হয়েছে, আপাতত সেখানেই বাজার গড়ে তোলা হবে। বাইরের কেউ সেখানে ব্যবসা করতে পারবেন না, কেবল এখানকার ব্যবসায়ীরাই পারবেন”।

আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিত নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তদন্ত ও সার্ভে শুরু করা হবে খুব শিগগিরই। তিনি সতর্ক করে বলেন, “সিলিন্ডার ও এসি মেশিনগুলোর নিয়মিত পরীক্ষা করানো উচিত। মানুষের জীবনও বিপন্ন হতে পারত”।

এর আগে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু-ও। দমকল সূত্রে জানা গেছে, পুরোপুরি আগুন নিভলেও এখনও কিছু জায়গায় ‘পকেট ফায়ার’ থাকার সম্ভাবনা থাকায় নজরদারি চলছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তাদের বহু বছরের সঞ্চিত পুঁজি এবং দোকানের সমস্ত সামগ্রী এক রাতেই ছাই হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর আগে এই এলাকা ঘুরে দেখেন সিপি মনোজ ভার্মাও। সমস্ত এলাকা, আগুন লাগার উৎস খুঁটিয়ে দেখেন তিনি।