আগামী ১৮ জুলাই, নির্বাচন কমিশনকে সময় বেঁধে দিল হাইকোর্ট

শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। ভোটের ফলপ্রকাশ ঘিরে অশান্তি অব্যাহত। মানুষের রক্তক্ষরণ অবধি অব্যাহত রয়েছে। এরই মাঝে এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সময় বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

author-image
SWETA MITRA
New Update
high

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে মুহুর্মুহু হিংসার ঘটনা ঘটেছে রাজ্যজুড়ে। রক্ত ঝরেছে সাধারণ মানুষের। এমনকি অনেকেই প্রাণ ভয়ে নিজেদের বাড়ি ছেড়েও চলে গিয়েছেন বলে খবর। রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে ভুরি ভুরি জমা পড়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে। কিন্ত আদৌ কি কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে কমিশন? পঞ্চায়েত ভোটে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে মোটেই ‘খুশি’ নয় খোদ কলকাতা হাইকোর্টও। এদিকে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর তরফে দায়ের করা একাধিক মামলার শুনানি হয়েছে আজ বুধবার আদালতে।  

এদিন আদালতে দীর্ঘ শুনানি চলে, কিন্তু আদালতের অভিযোগ যে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে আদালতে কোনও অফিসারকে অবধি পাঠানো হয়নি ভোটে হিংসা নিয়ে কথা বলার জন্য। এমনকি ভোট শেষ হলেও নির্বাচন কমিশনের তরফে ‘ভোটে সন্ত্রাস’ প্রসঙ্গে কোনও সদুত্তর অবধি মেলেনি।  আদালতের বক্তব্য, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ও ভোট চলাকালীন যে হিংসা হয়েছে এবং যে অভিযোগ পেয়েছে কমিশন সেগুলি নিয়ে আদালত কী পদক্ষেপ নিয়েছে এগুলো জানানো উচিৎ। 

এই মর্মে আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের জবাবদিহি চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে এও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যারা যারা ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন এবং জিতেছিলেন তাঁদেরকে দ্রুত কিছু কথা জানাতে হবে। নির্বাচনে হিংসা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে যে রিপোর্ট পেশ করবে তার ওপর আধার করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখন এটাই দেখার আদালতের রায় কাদের পক্ষে যায়। 

এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।