বিএলও-দের অভিযোগে নতুন জটিলতা, নির্বাচন কমিশনের খতিয়ানে বিপুল সংখ্যক মৃত ও অনুপস্থিত ভোটার

শুক্রবার পর্যন্ত ২৭ লক্ষ ৭১ হাজার ফর্ম সংগ্রহ করা যায়নি।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
election commission  a

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে ফের বিতর্ক। ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিন ঘনিয়ে আসতেই চাপে বাড়ছে বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলও) ওপর। অভিযোগের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে অ্যাপ-জনিত সমস্যা এবং ফর্ম ডিজিটাইজেশনে বারবার বিপত্তি। এদিকে নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ পরিসংখ্যান আরও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত ২৭ লক্ষ ৭১ হাজার ফর্ম সংগ্রহ করা যায়নি। এর মধ্যে ১৫ লক্ষ ৫৩ হাজার ভোটার মৃত, ২ লক্ষ ৬১ হাজার ভোটারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি, ৮ লক্ষ ৮৮ হাজার স্থানান্তরিত হয়েছেন এবং ৫৮ হাজার ১৬৪ জনের নাম ডুপ্লিকেট বা ডবল এন্ট্রি অবস্থায় রয়েছে। কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, যাঁদের নাম ডুপ্লিকেট, তাঁদের নাম খসড়া তালিকায় থাকবে না এবং আলাদা তালিকা প্রকাশ করা হবে।

sir voter list

আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে আসবে ভোটার তালিকার খসড়া। শুক্রবার পর্যন্ত কমিশনের তথ্যমতে ৬ কোটি ৭৩ লক্ষ ফর্ম ডিজিটাইজড হয়েছে। কমিশনের নির্দেশ, যাঁরা ফর্ম জমা দিয়েছেন, তাঁদের নাম খসড়া তালিকায় থাকবেই। সংশ্লিষ্ট বুথ ও কমিশনের ওয়েবসাইটে তালিকা প্রকাশ করা হবে। মৃত বা স্থানান্তরিত ভোটার এবং অনুপস্থিতদের নাম পৃথক তালিকায় তুলে ধরা হবে।

কমিশন আরও জানিয়েছে – 
১) ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকলেও যদি সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় গিয়ে দেখা যায় ব্যক্তি মৃত, তবে তা ডিলিট করা যাবে।
২) ২০২৫ সালের খসড়া তালিকায় নাম থাকলেও নির্দিষ্ট ঠিকানায় তাঁকে পাওয়া না গেলে নাম কাটা হবে।
৩) ডবল এন্ট্রি থাকলে, একই বা অন্য কেন্দ্রের নামও বাতিল হবে।

এসআইআর-এর সময়সীমা যতই এগোচ্ছে, ততই বাড়ছে প্রযুক্তিগত জটিলতা, ফর্ম ডিজিটাইজেশনের চাপ এবং বিএলও-দের ক্ষোভ। শেষ মুহূর্তে এই বিশাল সংখ্যক ফর্ম ও তথ্য যাচাইয়ের কাজে কমিশন কতটা সফল হয়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহল।