/anm-bengali/media/media_files/2025/04/28/BugrCE9ia4gtmQ6NM8BY.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে এবার সরাসরি রাজ্যপালের দ্বারস্থ হলেন ওড়িশার বিজেপি সাংসদ প্রতাপ ষড়ঙ্গী। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বালেশ্বর থেকে এসে রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ঘটনাটি নিয়ে বিস্তারিতভাবে কথা বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, ওড়িশা থেকে বাংলায় ডাক্তারি পড়তে আসা এক ছাত্রীকে দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য জুড়ে। ইতিমধ্যেই ঘটনায় পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টেও ধর্ষণের ইঙ্গিত মিলেছে।
প্রতাপ ষড়ঙ্গী জানান, তিনি বুধবার দুর্গাপুরে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। সাংসদ হিসেবে তাঁর প্রতি এই আচরণে গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমি আগেই রাজ্য প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছিলাম। আমি ২০-২৫ লক্ষ মানুষের প্রতিনিধি। আমাকে আটকানো সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক। নির্যাতিতার পরিবারও পুলিশকে অনুরোধ করেছিল আমাকে দেখা করতে দিতে, তবু বাধা দেওয়া হয়”।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/10/15/pratap-chandra-sarangi-2025-10-15-21-15-27.webp)
তিনি আরও জানান, নির্যাতিতা তাঁর সংসদীয় এলাকারই বাসিন্দা, তাই একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর নৈতিক দায়িত্ব পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। তিনি বলেন, “আমি গিয়ে দেখেছি মেয়েটি ভীষণ মানসিক চাপে আছে। ওঁকে আমি ভরসা দিয়েছি, সাহস জুগিয়েছি। মেয়েটিকে আমি মহাভারতের উদাহরণ শুনিয়েছি”।
সাংসদের দাবি, দুর্গাপুরের এই ঘটনার সমস্ত দিক রাজ্যপাল ইতিমধ্যেই রিপোর্ট আকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে পাঠিয়েছেন। তিনি এও প্রশ্ন তোলেন, পুলিশের তদন্ত আদৌ নিরপেক্ষ হচ্ছে?
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি নির্যাতিতার মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এরপর ওড়িশার মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দলও দুর্গাপুরে এসেছিল। এবার সাংসদের এই সফর রাজনৈতিকভাবেও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us