বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতে ঢোকাতে সাহায্য! কলকাতায় শান্তা পালের রহস্যময় ভূমিকায় চমকে তদন্তকারীরা

কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! কলকাতায় ধৃত বাংলাদেশের মডেল শান্তা পালের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে, উঠছে বিস্ফোরক প্রশ্ন।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
bangladeshi models


নিজস্ব সংবাদদাতা: কলকাতায় এক অভিনব কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস! প্রথমে মনে হয়েছিল মামুলি কাগজপত্রের সমস্যা। কিন্তু কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে এল কেউটে। বাংলাদেশের মডেল তথা অভিনেত্রী শান্তা পালের গ্রেফতারের পর একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে কলকাতা পুলিশের তদন্তে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’বছর ধরে শান্তা পাল অবৈধভাবে ভারতে বসবাস করছিলেন। তাঁর পাসপোর্ট ও ভিসা—দুইয়েরই মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। অথচ, কোনও রকম বৈধ অনুমোদন ছাড়াই কলকাতার অভিজাত এলাকাতেই ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠছে—তিনি নিজেই হয়ে উঠেছিলেন এক ‘ভিসা কনসালটেন্ট’ বা পরামর্শদাতা।

তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, শান্তা বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতে মেডিক্যাল ভিসা পাওয়ার ব্যাপারে কৌশল বাতলে দিতেন। কীভাবে চিকিৎসার অজুহাতে ভিসার আবেদন করতে হয়, কীভাবে দীর্ঘদিন ভারতে থেকে যাওয়া যায়—তা নিয়ে নির্দিষ্ট ‘গাইডলাইন’ থাকত তাঁর কাছে। কেউ কেউ বলছেন, শান্তার কাছেই থাকত পুরো প্রক্রিয়ার ‘ব্লুপ্রিন্ট’। এই মুহূর্তে পুলিশ খতিয়ে দেখছে, ঠিক কতজন বাংলাদেশি নাগরিককে তিনি এইভাবে ভারতে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছিলেন।

arrested a

তদন্তে উঠে আসছে আরও এক গোপন চক্রের ইঙ্গিত। পুলিশের একাংশ মনে করছে, এটি নিছকই ব্যক্তিগত লেনদেনের বিষয় নয়—এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক ভিসা-চক্র বা মানব পাচার চক্রও জড়িয়ে থাকতে পারে। সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।

শান্তা পালের মোবাইল ও অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইস পরীক্ষা করে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে জোরকদমে। তাঁর সঙ্গে কে বা কারা যোগাযোগ রাখছিল, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে আসা তথ্য বা আর্থিক লেনদেনের কোনও প্রমাণ মেলে কি না—তা নিয়েও তৎপর পুলিশ।

বর্তমানে শান্তাকে আদালতের নির্দেশে হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলছে বলে জানা যাচ্ছে।

এখন প্রশ্ন, শুধুই অবৈধ ভিসা? নাকি এর আড়ালে আরও বড় কোনও ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে? তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই বাড়ছে রহস্য।