/anm-bengali/media/media_files/2025/11/17/uk-2025-11-17-00-25-17.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: ব্রিটেন তাদের আশ্রয় নীতি আধুনিক কালের মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এনে রবিবার জানিয়ে দিল— এখন থেকে যে কোনও শরণার্থীকে স্থায়ী থাকার সুযোগ পেতে অপেক্ষা করতে হবে পুরো ২০ বছর। আগে যে পথ ছিল ৫ বছরের, সেটিই বাড়িয়ে চারগুণেরও বেশি করা হয়েছে। লেবার সরকার বলেছে, আশ্রয় ব্যবস্থাটি দীর্ঘদিন ধরেই “ভাঙা” অবস্থায় রয়েছে, আর সেই ব্যবস্থা ঠিক করতেই এই কঠোর সিদ্ধান্ত প্রয়োজন হয়েছিল। বিশেষ করে ফ্রান্স থেকে ছোট নৌকা দিয়ে অবৈধভাবে ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে আসা মানুষের সংখ্যা কমাতে সরকার এই পথে হাঁটছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কাউকে শরণার্থী সুরক্ষা দিলে সেটি স্থায়ী নয়, অস্থায়ী হিসেবেই থাকবে। ৩০ মাস অন্তর সেই স্ট্যাটাস পর্যালোচনা করা হবে। যদি দেখা যায়, শরণার্থীর নিজের দেশটি এখন নিরাপদ বলে বিবেচিত হচ্ছে, তা হলে ব্রিটেন সেই স্ট্যাটাস বাতিল করতে পারে।
যারা অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করেন, অথবা ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও লুকিয়ে থাকেন এবং পরে এসে আশ্রয়ের দাবি করেন— তাদের জন্যই এই ২০ বছরের দীর্ঘতম পথ তৈরি করা হয়েছে। পুরো সময়টাতেই তাদের বারবার প্রমাণ করতে হবে যে তারা এখনো প্রকৃত ঝুঁকির মুখে রয়েছেন।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/11/17/united-kingdom-2025-11-17-00-25-38.png)
তবে যারা বৈধ উপায়ে ব্রিটেনে পুনর্বাসন স্কিমের মাধ্যমে আসবেন, তাদের জন্য কিছুটা সহজ পথ রাখা হয়েছে। তাদের জন্য আলাদা ১০ বছরের রুট তৈরি হবে, যেখানে তারা তুলনামূলক দ্রুত স্থায়ী হওয়ার সুযোগ পেতে পারেন।
নতুন এই নীতির ঘোষণা ঘিরে ব্রিটেনজুড়ে তীব্র আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ বলছেন মানবিক মূল্যবোধ আঘাত পেয়েছে, কেউ আবার দাবি করছেন— অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে এ ছাড়া উপায় নেই। তবে একটি ব্যাপার পরিষ্কার— ব্রিটেনে আশ্রয় পাওয়ার নিয়ম এবার থেকে আর মোটেও সহজ থাকছে না।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us