ইংলিশ চ্যানেলে রাশিয়ার করভেট-ট্যাঙ্কার পাকড়াও! কেন হঠাৎ উত্তপ্ত ব্রিটেনের সমুদ্রসীমা?

ইংলিশ চ্যানেলে রাশিয়ার করভেট ও ট্যাঙ্কার আটক করে নজরদারি করল UK Navy। ব্রিটেন বলছে রাশিয়ার নৌসক্রিয়তা ৩০% বেড়েছে। লন্ডনের কড়া সতর্কবার্তা—“পুতিন, আমরা জানি তুমি কী করছ।”

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
breaking new 2

নিজস্ব সংবাদদাতা:  ইংলিশ চ্যানেলে টানটান উত্তেজনা। প্রায় দুই বছর ধরে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ ও নৌ-চলাচল ব্রিটেনের জলসীমার কাছাকাছি যেভাবে বাড়ছে, তা নিয়ে লন্ডনের উদ্বেগ আরও বেড়েছে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা দফতর জানিয়েছে, গত দুই বছরে রাশিয়ান নৌ-সক্রিয়তা প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতেই ব্রিটিশ নৌবাহিনীর টহলজাহাজ HMS Severn গত সপ্তাহে রাশিয়ার করভেট Stoikiy এবং ট্যাঙ্কার Yelnya–কে ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে যাত্রাকালে আটকালো ও ঘনিষ্ঠভাবে নজরদারি করল। পরে ওই নজরদারির দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয় নেটোর আরেক সদস্য দেশের কাছে, ব্রিটনির উপকূলে।

রাশিয়ার এমন চলাচলের মাঝে ব্রিটেন আরও তিনটি Poseidon মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফ্ট আইসল্যান্ডে পাঠিয়েছে, যাতে উত্তর আটলান্টিক ও আর্কটিক রুটে রুশ নৌবাহিনীর গতিবিধি রিয়েল টাইমে ধরা যায়। ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তাদের দাবি, রাশিয়া এখন নিয়মিতই সীমান্ত পরীক্ষা করছে—কখনও সমুদ্রপথে, কখনও আকাশপথে।

uk navy

এরই মধ্যে আরও বড় বিতর্ক তৈরি করেছে রাশিয়ার গোয়েন্দা জাহাজ Yantar–কে কেন্দ্র করে। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা সচিব জন হিলি অভিযোগ করেন, স্কটল্যান্ডের কাছে ওই জাহাজ নজরদারি বিমানগুলোর দিকে লেজার তাক করে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। হিলি কড়া ভাষায় সতর্ক করে বলেন, “আমাদের জলসীমায় আগ্রাসন সহ্য করা হবে না। পুতিন, আমরা সব দেখছি—সব জানি।”

অন্যদিকে লন্ডনের অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়ে রুশ দূতাবাস পাল্টা দাবি করেছে, ব্রিটেন ইচ্ছা করেই “যুদ্ধজিগির” বাড়াচ্ছে। তাদের বক্তব্য, রাশিয়ার জাহাজ আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আইন মেনেই চলছিল, ব্রিটেন অতিরঞ্জিত অভিযোগ তুলে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে মাত্র।

উত্তর আটলান্টিক থেকে ইংলিশ চ্যানেল—সর্বত্রই রুশ নৌচলাচল জমে উঠেছে। নেটো-যুক্তরাজ্য–রাশিয়া সম্পর্ক তাই আবারও দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। লন্ডনের দাবি, রাশিয়ার বাড়তি নৌসক্রিয়তা ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। আর মস্কোর বক্তব্য, পশ্চিমা দেশগুলোই অকারণ উত্তেজনা বাড়াচ্ছে।

এ অবস্থায় সামনের দিনগুলোতে উত্তেজনা আরও বাড়বে—নাকি দুই পক্ষ কূটনৈতিকভাবে সমাধানের রাস্তা খুঁজবে—তা নিয়েই এখন নজর গোটা ইউরোপের।