/anm-bengali/media/media_files/2025/11/05/philipines-typhoon-2025-11-05-08-48-53.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা:ফিলিপাইনে তাণ্ডব চালিয়ে মৃত্যু ও ধ্বংসের ভারী ছাপ রেখে গেল টাইফুন ‘কালমেগি’। কেন্দ্রীয় দ্বীপপুঞ্জ ঝড়-বৃষ্টিতে লণ্ডভণ্ড, এখনো থামেনি আতঙ্ক। বুধবারও পালাওয়ান দ্বীপে প্রবল আঘাত হেনেছে এই ঘূর্ণিঝড়, আর সেই ভয়ংকর তাণ্ডবে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৮ জন। নিখোঁজ বহু, কাঁদছে পরিবার-পরিজন।
সবচেয়ে করুণ ঘটনা—মানবিক ত্রাণ মিশনে গিয়ে ভেঙে পড়ল সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার। মিন্ডানাওয়ের আগুসান দেল সুর এলাকায় দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৬ সেনা-কর্মীর। বিপর্যস্ত মানুষ পৌঁছাতে যাচ্ছিলেন তাঁরা—ফিরে এলেন না আর কখনও।
বিশাল ক্ষতির ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পর্যটকদের প্রিয় সেবু দ্বীপ—যেখানে প্রতিদিন আলো-ঝলকানি আর জীবনের হাসি—সেই একই জায়গা আজ ধ্বংসস্তূপ। নেমে গেছে জলাবদ্ধতা, বেরিয়ে এসেছে ভাঙাচোরা বাড়ি, উলটে থাকা গাড়ি, ছিন্নভিন্ন স্মৃতি। ১৩ জন এখনও নিখোঁজ বলেই জানাল দুর্যোগ মন্ত্রক।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/11/05/typhoon-2025-11-05-08-51-48.png)
এই বিপর্যয় যেন নতুন কিছু নয়, মাত্র এক মাস আগেই সেবুর উত্তরাঞ্চলে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে বহু মৃত্যু হয়, হাজারো পরিবার গৃহহীন হয়। সেই ক্ষত শুকোয়নি—তার মধ্যেই নতুন দুর্যোগ।
এদিকে, স্থানীয় আবহাওয়া দফতর পাগাসা জানিয়েছে—স্থলভাগে ঢোকার পর কিছুটা দুর্বল হলেও দক্ষিণ চিন সাগরের ওপর দিয়ে আবার শক্তি সঞ্চয় করতে পারে কালমেগি। তাই বিপদ এখনও পুরো কাটেনি।
ভিসায়াস অঞ্চলে এবং দক্ষিণ লুযোন–উত্তর মিন্ডানাও জুড়ে প্রায় ২ লাখ মানুষকে আগেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘরবাড়ি পানির তলায়, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, যোগাযোগ ভেঙে পড়েছে বহু জায়গায়।
প্রকৃতি যেন বারবার সতর্ক করছে—তবুও মানবজীবনের লড়াই থেমে থাকে না। ঘূর্ণিঝড়-পীড়িত ফিলিপাইনে এখন শুধু বেঁচে থাকার সংগ্রাম।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us