নিউইয়র্কের নতুন মেয়রকে ‘ভারতবিদ্বেষী’ বললেন এরিক ট্রাম্প! তোলপাড় আমেরিকা

এরিক ট্রাম্প অভিযোগ তুলেছেন যে নিউইয়র্কের মেয়র-ইলেক্ট জোহরান মামদানি ভারতীয় সম্প্রদায়কে ঘৃণা করেন এবং শহরকে সমাজতান্ত্রিক নীতিতে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছেন। ফক্স নিউজে তাঁর মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
Mamdani

নিজস্ব সংবাদদাতা:  মার্কিন রাজনৈতিক অঙ্গন ফের তপ্ত। নিউইয়র্কের নতুন নির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানিকে লক্ষ্য করে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে এরিক ট্রাম্প। ফক্স নিউজ–এর জনপ্রিয় শোতে সঞ্চালক শন হ্যানিটির সঙ্গে আলাপচারিতার সময় এরিক দাবি করেন, মামদানি নাকি “ভারতীয় জনগোষ্ঠীকে ঘৃণা করেন”, আর তাঁর নীতি নাকি নিউইয়র্ক শহরকে বিপজ্জনক পথে ঠেলে দিচ্ছে। তাঁর কথায়, “এক সময় নিউইয়র্ক ছিল বিশ্বের সেরা শহর। এখন আর নয়। কারণ রাজনীতি সবকিছু নষ্ট করে দিয়েছে।”

এরিক ট্রাম্পের অভিযোগ এখানেই থেমে থাকেনি। তিনি বলেন, “নিউইয়র্কে এখন সেই দল ক্ষমতায়, যারা সমাজতন্ত্র বা কমিউনিজমকে সামনে এনে শহর চালাতে চায়। নতুন মেয়র চান গ্রোসারি স্টোর জাতীয়করণ করতে। নেতানিয়াহুকে গ্রেফতার করতে চান। জিউদের ঘৃণা করেন, ভারতীয়দের ঘৃণা করেন।” তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে মুহূর্তে তোলপাড় পুরো ভারতীয় প্রবাসী সমাজ।

এরিক ট্রাম্প দাবি করেন, শহরের মূল সমস্যা কর, নিরাপত্তাহীনতা, রাস্তার বিশৃঙ্খলা— অথচ নতুন মেয়র এসবের বদলে প্রগতিশীল নীতি চাপিয়ে দিতে চাইছেন। তিনি বলেন, “নিউইয়র্ককে বাঁচাতে চাই নিরাপদ রাস্তা, পরিষ্কার রাস্তা, কম কর। এগুলোই শহরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত সরকারি হস্তক্ষেপ কখনও সমাধান নয়।”

eric trump

আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি আবার আক্রমণ করেন ডেমোক্র্যাট নেতা এলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও–কর্তেজকে (AOC)। তাঁর অভিযোগ, “অ্যামাজন হাজার হাজার চাকরি নিয়ে আসতে যাচ্ছিল নিউইয়র্কে। AOC তাঁদের এমনভাবে তাড়ালেন যেন তারা শহরের শত্রু!” এরিকের দাবি, এই ধরণের ‘অবাস্তব’ প্রগতিশীল রাজনীতি এখন মামদানির মাধ্যমেও শহরের ভবিষ্যতকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

এরিক ট্রাম্পের ‘ভারতবিদ্বেষ’–র অভিযোগ দ্রুতই আমেরিকা ও ভারতীয় ডায়াসপোরার মধ্যে আলোচনার ঝড় তোলে। বিশেষ করে ভারতীয় ভোটাররা প্রশ্ন তুলছেন, নিউইয়র্কের পরবর্তী প্রশাসন কি সত্যিই দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়কে উপেক্ষা করতে চলেছে?

তবে মামদানি শিবির বা ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে এখনো এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। কিন্তু এরিক ট্রাম্পের মন্তব্য ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যম ও রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, এবং নিউইয়র্কের ভবিষ্যৎ পরিচালনাকে ঘিরে নতুন করে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।