/anm-bengali/media/media_files/2025/11/19/soudi-crown-pronce-aa-2025-11-19-07-59-11.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: হোয়াইট হাউসে মঙ্গলবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে ঘিরে ছিল রাজকীয় সাজসজ্জা। অশ্বারোহী বাহিনীর নিরাপত্তা রিং, কালো মার্সিডিজ লিমোজিন, ব্যান্ডের তুরি, আকাশে চক্কর দিচ্ছে F-35 যুদ্ধবিমান—সব মিলিয়ে যেন বড় কোনও স্টেট ভিজিট। সাত বছরের বেশি সময় পর তাঁর আমেরিকা সফরকে ঘিরে ট্রাম্পের প্রশাসন যেন ছিল সর্বোচ্চ সৌজন্য দেখাতে বদ্ধপরিকর।
কিন্তু এই জাঁকজমকের মাঝেই সাংবাদিকেরা প্রশ্ন তুলতেই হঠাৎই অস্বস্তিতে পড়ে গেলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভিতর সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে নিষ্ঠুরভাবে খুন করা হয়—সেই বিষয়টি উঠতেই রেগে যান ট্রাম্প। তার পরই বিস্ময়কর মন্তব্যে তিনি বলেন, “আপনি এমন একজনকে নিয়ে প্রশ্ন করছেন, যিনি অত্যন্ত বিতর্কিত ছিলেন। অনেকেই তাঁকে পছন্দ করতেন না। আর মানুষকে আপনি পছন্দ করুন বা না করুন—জীবনে নানা ঘটনা ঘটেই থাকে।”
এরপর যুবরাজের দিকে ফিরেই ট্রাম্প জানিয়ে দেন, CIA–র রিপোর্ট যেখানে বলছে যুবরাজই হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেখানে তিনি বিশ্বাস করেন—“তিনি কিছুই জানতেন না। এভাবেই ব্যাপারটা শেষ করা যাক।”
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/11/19/soudi-crown-prince-2025-11-19-07-59-31.png)
সৌদি যুবরাজের সঙ্গে আলোচনাটি যে ট্রাম্প চমকপ্রদ সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন, তা পরিষ্কার। তাই খাশোগি হত্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই তাঁর রাগ—এই পুরো সফর যে আলোচনার বিষয়, তাই এই হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ “ইচ্ছাকৃতভাবে তুলে সম্মানহানি” করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ট্রাম্প পরে যুবরাজের মানবাধিকার রেকর্ডকেও “অবিশ্বাস্য” বলে উল্লেখ করেন, যদিও আন্তর্জাতিক মহল এ বিষয়েই সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করে সৌদি নেতৃত্বের। পাশাপাশি ট্রাম্প নতুন বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা চুক্তি এবং আমেরিকা থেকে সৌদি আরবে F-35 যুদ্ধবিমান বিক্রির প্রতিশ্রুতির কথাও জানান। যুবরাজ অবশ্য ট্রাম্পের সব দাবিতে সায় দেননি।
হোয়াইট হাউসের এই দৃষ্টিনন্দন অভ্যর্থনা স্পষ্ট করে দিচ্ছে—খাশোগি হত্যার পর আমেরিকা ও সৌদি আরবের যে কূটনৈতিক দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, তার দরজা আবার বড় করে খুলে গেছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us