“সত্য গোপন করবেন না, নেতানিয়াহু!”— নিহত মেয়ের বাবার গর্জনে কাঁপল তেল আভিভ

তেল আভিভে নিহত সেনা পর্যবেক্ষকের বাবার ক্ষোভে উত্তাল ইসরায়েল। গাজা যুদ্ধের নাম বদলে দায় এড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ, তদন্তের জোর দাবি।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
israel protest

নিজস্ব সংবাদদাতা: তেল আভিভের রাতজাগা আকাশের নিচে হাজারো মানুষের সামনে ফেটে পড়লেন আইয়াল এশেল। তাঁর গলায় রাগ, কষ্ট আর ক্ষোভ একসাথে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নিহত সেনা পর্যবেক্ষক রোনি এশেলের বাবা তিনি। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি পড়ছিলেন ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার নতুন সিদ্ধান্ত—গাজা যুদ্ধের নাম “অপারেশন সোর্ডস অফ আয়রন” থেকে বদলে “ওয়ার অফ রিডেম্পশন” রাখা হবে। তারপর মুহূর্তেই কাগজটি ছিঁড়ে ফেললেন তিনি।

প্রতিবাদী জনতার সামনে এশেল প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে— “আপনি কি সত্যিই মনে করেন যুদ্ধের নাম বদলে, মেডেল বিলিয়ে, নিজের বীরত্বের গল্প শুনিয়ে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জাতীয় ব্যর্থতার তদন্ত এড়িয়ে যেতে পারবেন?” তাঁর কণ্ঠ কেঁপে ওঠে। তিনি বলেন, “আমার রোনি আর ফিরবে না। কিন্তু সত্য ফিরতে পারে। সত্য আড়াল করতে দেব না আমরা— নিহত পরিবার, গাজা সীমান্তের মানুষ, ইসরায়েলের নাগরিকরা কেউই।”

Benjamin Netanyahu

দুই বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। ৭ অক্টোবরের সেই হামলায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছিলেন, ২৫০ জনকে অপহরণ করা হয়েছিল। সেটা ইসরায়েলের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দিন। কিন্তু এখনও সরকার কোন রাষ্ট্রীয় তদন্ত কমিশন গঠন করেনি। কীভাবে এমন নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা ব্যর্থতা ঘটেছিল— তার উত্তর নেই।

গাজার যুদ্ধ প্রায় শেষের পথে। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি নিয়ে লড়াই কেবল শুরু হয়েছে। নিহতদের পরিবার ও সাধারণ নাগরিকদের দাবি— যুদ্ধের নাম পাল্টালেই দায় মুছে যায় না। সত্য জানতে হবে, তদন্ত হতেই হবে। আর সেই দাবিই আজ ইসরায়েলের নতুন আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু।