বালোচিস্তানে পণবন্দিদের মুক্ত করতে গিয়ে কত জন সেনা মারা গিয়েছেন! শুনলে চমকে উঠবেন

বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি দাবি করেছে, তারা ২১৪ জন সেনাকে হত্যা করেছে।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
pakistan train haijack

নিজস্ব সংবাদদাতা: বালোচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাকের ঘটনায় নতুন মোড় নিয়েছে। পাকিস্তান সরকার দাবি করেছিল যে তারা এই অভিযান সফলভাবে শেষ করেছে, তবে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছে। বিদ্রোহী সংগঠনটি জানিয়েছে, ট্রেন ছিনতাইয়ের ঘটনায় তারা ২১৪ জন পাকিস্তানি সেনাকে হত্যা করেছে।

বিএলএর মুখপাত্র জানান, নিহতদের সবাই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন এবং এই মৃত্যুর জন্য পাকিস্তান সরকারই দায়ী। তিনি বলেন, সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি নয় এবং সংঘাত নিরসনের জন্য কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এর আগে কোয়েটা স্টেশন থেকে শতাধিক কফিন নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে, যা পরিস্থিতিকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে।

গত ১১ মার্চ বোলান গিরিপথের কাছে কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছিনতাই করে বালোচ বিদ্রোহীরা। ট্রেনটিতে প্রায় ৪৫০ জন যাত্রী ছিলেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বন্দিদের উদ্ধারে অভিযান চালালে বিদ্রোহীদের সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষ বাধে। এতে কমপক্ষে ২৪ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয় এবং বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে ৩৩ জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করা হয়েছে।

pakistan train haijackkk

পাকিস্তান সরকার পরে ঘোষণা দেয় যে সংকট শেষ হয়েছে, সব যাত্রী নিরাপদ এবং বিদ্রোহীদের দমন করা হয়েছে। তবে বিএলএ দাবি করেছে, এই তথ্য মিথ্যা এবং পাকিস্তান সরকার প্রকৃত ঘটনা আড়াল করছে। বিদ্রোহী সংগঠনটি আরও জানিয়েছে যে তারা যুদ্ধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামোর মধ্যেই কাজ করছে, কিন্তু পাকিস্তান সরকার শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সেনাবাহিনীকে ব্যবহার না করে সংঘর্ষ উসকে দিচ্ছে।

সংঘর্ষে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ১২ জন যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ১২ মার্চ রাতে ৩ জন, ১৩ মার্চ রাতে আরও ৪ জন এবং মাজিদ ব্রিগেডের ৫ জন আত্মঘাতী ফিদায়েঁ (সুইসাইড বম্বার) নিহত হয়েছেন।

এদিকে, পাকিস্তান সরকার এখনও এই নতুন দাবির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে, এই ঘটনা ঘিরে দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা আরও বাড়ছে।