/anm-bengali/media/media_files/2025/11/10/syrian-refugee-2025-11-10-00-34-32.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: একসময় যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচাতে জার্মানির দ্বারস্থ হয়েছিলেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। ২০১৫ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে প্রাক্তন চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেলের আমলে প্রায় দশ লক্ষেরও বেশি সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল জার্মানি। আজ সেই দেশই বলছে— “সময় এসেছে, বাড়ি ফেরার।”
বর্তমানে জার্মানিতে প্রায় ১৩ লক্ষ সিরীয় নাগরিক বাস করছেন, যাঁদের মধ্যে ২৫ হাজারেরও বেশি শিশু জন্মেছে এই দেশেই। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অভিবাসনবিরোধী ডানপন্থী দলগুলির উত্থান এবং জনমতের চাপের মুখে চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎসের সরকার এখন শরণার্থীদের দেশে ফেরানোর পরিকল্পনা করছে।
চ্যান্সেলর মের্ৎস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “এখন আর সিরিয়ায় যুদ্ধ নেই। তাই আশ্রয়ের কোনও ভিত্তিও নেই। যারা ইচ্ছুক, তারা স্বেচ্ছায় ফিরুক। কিন্তু কেউ অস্বীকার করলে, তাকেও ফিরিয়ে দেওয়া হবে।”
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/11/10/syrian-refugees-in-germany-2025-11-10-00-36-07.png)
তিনি আরও জানান, সিরিয়া পুনর্গঠনের স্বার্থে শরণার্থীদের নিজ দেশে ফেরা এখন প্রয়োজনীয়। এ প্রসঙ্গে তিনি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে বার্লিনে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
একসময় যে সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলেছিল, এখন সেখানে শান্তি ফিরেছে, এমনটাই দাবি জার্মান প্রশাসনের। ফলে পশ্চিম এশিয়ার নতুন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শরণার্থী নীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী দেশ জার্মানি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত মূলত ডানপন্থী ‘আলটারনেটিভ ফর জার্মানি’ (AfD) দলের বাড়তে থাকা প্রভাবকে ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে। তবে মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, “যুদ্ধ শেষ হলেও, সিরিয়া এখনো নিরাপদ নয়।”
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us