Breaking : গভীর রাতে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই ডানেগলের সেন্ট মেরি গির্জা

ভোর রাতে Donegal-এর গুইডোরে আগুনে ধ্বংস হয়ে যায় ১৯৭০-এ নির্মিত সেন্ট মেরি গির্জা। দমকল ও পুলিশের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও গির্জাটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত।

author-image
Debapriya Sarkar
New Update

নিজস্ব সংবাদদাতা : ডানেগলের গুইডোর এলাকায় অবস্থিত সেন্ট মেরি গির্জায় সোমবার ভোর রাতে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণ গির্জা ধ্বংস হয়ে যায়। আগুন লাগার খবর পেয়ে রাত প্রায় ৪টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল ও পুলিশ বাহিনী। পাঁচটি ইউনিট একসঙ্গে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে, তবে ততক্ষণে গির্জার বড় একটা অংশই ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল।

publive-image

এই গির্জাটি ১৯৭০-এর দশকে নির্মিত হয়েছিল এবং রাফো ডায়োসিসের মধ্যে অন্যতম বড় গির্জা ছিল এটি। গির্জাটির ধ্বংসস্তূপ দেখে হৃদয় ভেঙে পড়েছেন অনেকে। ডায়োসিসের প্রশাসক মনসিনিওর কেভিন গিলেস্পি বলেন, “এই দৃশ্য দেখে আমি গভীরভাবে ব্যথিত। যাজক ফাদার ব্রিয়ান ও’ফারাহিকে জানাই আমার সমর্থন ও শুভকামনা। এই কঠিন সময়ে তিনি গির্জা সম্প্রদায়ের পাশে রয়েছেন।”

publive-image

তিনি দমকলকর্মী ও পুলিশ সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান, যারা দূর-দূরান্ত থেকে এসে গির্জা বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। গিলেস্পি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “এই সমাজ ও যাজকদের চেষ্টায় আবারও একদিন এই প্যারিশে একটি নতুন গির্জা গড়ে উঠবে। তার আগে পর্যন্ত আমাদের বিশ্বাস ও ধর্মীয় চর্চা চলতে থাকবে, যা আমাদের আশার আলো দেখাবে।”

সিন ফেইনের সংসদ সদস্য পিয়ার্স ডোহার্টি জানান, “এই গির্জা শুধু প্রার্থনার স্থান নয়, বরং গুইডোর অঞ্চলের মানুষের সামাজিক, ধর্মীয় ও মানসিক ভরসার জায়গা ছিল। আগুনে এর এমন পরিণতি পুরো জনগণকে বিধ্বস্ত করেছে। তবে আমরা কৃতজ্ঞ যে এতো বড় অগ্নিকাণ্ডেও কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।”ডানেগোলের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ড্যানিয়েল ও’ডনেল সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “এই সংবাদে আমি মর্মাহত ও দুঃখিত। প্রার্থনা ও শুভকামনা জানাই সবাইকে।”

publive-image

অন্যদিকে, আয়ারল্যান্ডের পুলিশ বাহিনী ‘আন গারদা শিওকানা’ জানিয়েছে, দমকলের সঙ্গে তারা সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে এবং এখনো তদন্ত চলছে। বর্তমানে গির্জা চত্বর ঘিরে পুলিশি ব্যারিকেড বসানো হয়েছে এবং প্রযুক্তিগত তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনার কারণ এখনো নিশ্চিত নয়, তবে স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণ একত্র হয়ে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে—এবং তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, এই বিশ্বাসের প্রতীক আবারও নতুন রূপে ফিরে আসবে।