মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর প্রত্যর্পণ নিয়ে দিল্লিকে বার্তা ঢাকার! প্রশ্নের মুখে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক

শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে ভারতকে কড়া বার্তা বাংলাদেশের। তবু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্ট করতে চায় না ঢাকা—জানাল অন্তর্বর্তী সরকার।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
Sheikh Hasina

নিজস্ব সংবাদদাতা:  ক্ষমতাচ্যুত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন করে চাপ বাড়াল ঢাকা। রবিবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হাসিনাকে “যত দ্রুত সম্ভব” ভারতের কাছ থেকে প্রত্যর্পণ করা প্রত্যাশা করে তারা। তবে একই সঙ্গে এটাও স্পষ্ট করা হয়েছে, এই একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে চায় না বাংলাদেশ।

ঢাকায় কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা মহম্মদ তৌসিদ হোসেইন বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত স্বার্থের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং একটিমাত্র বিষয়ের উপর সেই সম্পর্ক নির্ভর করে না। তবে একই সঙ্গে তিনি জানান, আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর এখন বাংলাদেশের প্রত্যাশা, হাসিনাকে দ্রুত ফেরত দেবে ভারত।

sheikh hasina hjk.jpg

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ অগস্ট ছাত্র আন্দোলনের জেরে ক্ষমতা হারানোর পর হাসিনা ভারতে চলে আসেন। পরে চলতি বছরের ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশের একটি বিশেষ ট্রাইবুনাল তাঁকে মানবতা-বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এর আগেই তাঁকে পলাতক ঘোষণা করেছিল আদালত। সেই রায়ের পর গত সপ্তাহে দিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশের হাই কমিশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রত্যর্পণ আবেদন পাঠানো হয়। এই মর্মে আগেও নোট ভারবাল পাঠানো হয়েছিল, তবে তখন ভারতের তরফে কোনও চূড়ান্ত উত্তর মেলেনি।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে তৈরি নতুন প্রশাসনের মতে, পরিস্থিতি এখন বদলেছে এবং ভারতেরও নতুন বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় এসেছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, প্রয়োজনে তারা আন্তর্জাতিক স্তরে বিষয়টি তুলবে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।

তবে এই কূটনৈতিক চাপের মধ্যেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ভারতের সঙ্গে স্থিতিশীল ও বাস্তবভিত্তিক সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী। অন্যদিকে দিল্লি জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে এবং ভবিষ্যতেও শান্তি, গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতার প্রশ্নে গঠনমূলক ভূমিকা নেবে।