ভারতের ওপর চাপ বাড়ছে! পাকিস্তানে সৌদি সেনাপ্রধানের গোপন বৈঠক—রিয়াধ–ইসলামাবাদের নয়া প্রতিরক্ষা জোট?

সৌদি সেনাপ্রধান জেনারেল ফায়াদ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এবং সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা বাড়ানোর বার্তা দেন। দুই দেশের ‘Strategic Defence Agreement’ নতুন কৌশলগত সমীকরণ তৈরি করেছে।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
soudi arabia and pakistan

নিজস্ব সংবাদদাতা:  সৌদি আরবের সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ কর্তা জেনারেল ফায়াদ বিন হামেদ আল–রুওয়ালি পাকিস্তানের বেসামরিক ও সামরিক শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সোমবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেন। দুই দেশের কৌশলগত সহযোগিতা আরও দৃঢ় করা, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী উদ্যোগে যৌথ শক্তি বাড়ানো—এই সমস্ত বিষয়ই বৈঠকের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।

জেনারেল ফায়াদ যখন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে দেখা করেন, তখন পাকিস্তান স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, তাদের লক্ষ্য সৌদি আরবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া। শেহবাজ বলেন, পাকিস্তান যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ, মহড়া এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মতো ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়াতে বদ্ধপরিকর।

গত সেপ্টেম্বর রিয়াধ সফরে দুই দেশ যে ‘Strategic Mutual Defence Agreement’–এ সই করেছিল, তার কথাও স্মরণ করান শেহবাজ। চুক্তি অনুযায়ী, যেকোনও এক দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হলে তা অপর দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে বিবেচিত হবে। পাশাপাশি তিনি জানান, উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ দমনে রিয়াধ ও ইসলামাবাদ একই লক্ষ্যেই কাজ করছে—অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে।

োেগস সহলগী ১

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপচারিতায় জেনারেল ফায়াদ জানান সৌদি রাজপরিবারের শুভেচ্ছা, সঙ্গে তাঁদের ইচ্ছেও—দুই দেশের প্রতিরক্ষা–সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী, আরও বহুমুখী করতে চান তাঁরা।

সৌদি এই জেনারেল পরে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সঙ্গেও দেখা করেন জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সে। বৈঠকে জোর দেওয়া হয় পুরনো সামরিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার উপর। পাকিস্তান সেনার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই দেশই প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতাকে আরও উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী।

এছাড়াও, জেনারেল ফায়াদ যৌথ চিফস অফ স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শমশাদ মিরজার সঙ্গে বৈঠক করেন। আলোচনায় উঠে আসে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এবং দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে নতুন করে সহযোগিতা বাড়ানোর নানাবিধ পরিকল্পনা। পাকিস্তান প্রতিশ্রুতি দেয়, সৌদি আরবের ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং হারামাইন শরীফাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা সবসময় পাশে থাকবে।