“আমরা পরমাণু পরীক্ষা করব না, কিন্তু কেউ করলে ছাড়ব না!” ট্রাম্পকে পাল্টা হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

রাশিয়া জানাল, তারা পারমাণবিক পরীক্ষা চালাচ্ছে না এবং বিশ্বব্যাপী নিষেধাজ্ঞা মানছে। ট্রাম্পের “নিউক্লিয়ার টেস্ট শুরু” ঘোষণার জবাবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেসকভ বলেন— “আমরা চুক্তি মানছি, তবে কেউ ভাঙলে রাশিয়াও বাধ্য হবে।” এতে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে পারমাণবিক উত্তেজনা।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
Putin

নিজস্ব সংবাদদাতা:  বিশ্বজুড়ে ফের পারমাণবিক উত্তেজনার আবহ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে। তবে এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার তরফে সাফ জানানো হয়েছে— “রাশিয়া কোনও পারমাণবিক পরীক্ষা চালাচ্ছে না।”

রবিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “পুতিন একাধিকবার স্পষ্ট করেছেন যে রাশিয়া পারমাণবিক পরীক্ষার বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞা মেনে চলছে। আমাদের কোনও পরিকল্পনা নেই তা ভাঙার। তবে অন্য কোনও দেশ যদি এই চুক্তি লঙ্ঘন করে, তাহলে রাশিয়াও বাধ্য হবে পাল্টা ব্যবস্থা নিতে।”

রুশ টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পেসকভ বলেন, “নিউক্লিয়ার প্যারিটি বা পারমাণবিক সমতা— এটাই আজকের বিশ্বের নিরাপত্তা কাঠামোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আমরা চাই না কেউ এই ভারসাম্য নষ্ট করুক।”

এই মন্তব্য এসেছে ট্রাম্পের Truth Social পোস্টের কয়েক দিন পর। ২৯ অক্টোবর ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি মার্কিন ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার’-কে নির্দেশ দিয়েছেন নতুন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করতে।

putin trump

ট্রাম্পের ভাষায়, “আমেরিকার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। আমার প্রথম মেয়াদকালেই এগুলোর আধুনিকীকরণ সম্পূর্ণ হয়েছিল। আমি এটা করতে চাইনি, কিন্তু বাধ্য হয়েছি।”

তিনি আরও দাবি করেন, “রাশিয়া দ্বিতীয় অবস্থানে আর চীন অনেক পিছিয়ে। তবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই তারা আমাদের সমান হয়ে যাবে।”

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর থেকেই বিশ্বজুড়ে নিউক্লিয়ার রেস নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই ক্রেমলিনের এই স্পষ্টীকরণকে কূটনীতিকরা দেখছেন এক ‘বার্তা দেওয়ার পদক্ষেপ’ হিসেবে— যে রাশিয়া এখনো সরাসরি সংঘাতে যেতে চাইছে না, তবে প্রয়োজন হলে ‘চুপ করে থাকবে না।’