নিজস্ব সংবাদদাতা: ইউক্রেনের সঙ্গে মার্কিন সামরিক সহযোগিতা পুনরায় শুরু হওয়ার পরই কি চিন্তায় পড়ে গেল রাশিয়া? অন্তত রাশিয়ার তৎপরতা এমনটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে। ইউক্রেনের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা পুনরায় শুরু হওয়ার একদিন পরই রাশিয়া জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে জরুরি ফোনালাপ আয়োজন করা যেতে পারে। হইতো খুব শীঘ্রই সেই টেলিফোনিক বার্তালাপ হবে।
এই প্রসঙ্গে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, “যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে পুতিন-ট্রাম্প ফোনালাপ খুব দ্রুত আয়োজন করা হবে। আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না যে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার প্রয়োজন হতে পারে। তবে আপাতত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন রয়েছে, তাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে”।
/anm-bengali/media/media_files/jTywPrD9c5y5WU2O4fMw.jpeg)
ইউক্রেন ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, যা এখন রাশিয়ার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক বৈঠকে যুদ্ধ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে সেই প্রস্তাবে।
২০ জানুয়ারি ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর, পুতিন-ট্রাম্প মাত্র একবার, গত ১২ ফেব্রুয়ারি কথা বলেছেন। তখন ইউক্রেন সংঘাত, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও শীর্ষ সম্মেলনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। এবার টেলিফোনিক বার্তায় এই সব বিষয় নিয়ে নাকি অন্য কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে এই বার্তালাপ যে কূটনৈতিক মহলে বেশ চর্চা শুরু করেছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।