/anm-bengali/media/media_files/2025/04/29/fTrH9dvr5AJprtJbnAR5.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: কানাডার ফেডারেল নির্বাচনে চরম বিপর্যয়ের মুখে খলিস্তানপন্থী নেতা জগমিত সিংয়ের নেতৃত্বাধীন নিউ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এনডিপি)। দেশের অন্যতম আলোচিত এই রাজনৈতিক মুখ শুধু দলের ভরাডুবি নয়, নিজের আসনও রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার বার্নাবি সেন্ট্রাল আসন থেকেও পরাজিত হয়েছেন তিনি। ফলাফল প্রকাশের পরই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন এনডিপি নেতা।
এই ভরাডুবিকে খলিস্তানপন্থীদের জন্য বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ, জগমিত সিং দীর্ঘদিন ধরেই খলিস্তানপন্থী মনোভাবের কারণে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন।
৩৪৩টি সংসদীয় আসনের সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছিল এনডিপি। কিন্তু সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তারা মাত্র ৮টি আসনে জয়ী হয়েছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে দলটি পেয়েছিল ২৪টি আসন, সেখান থেকে এই বিপর্যয় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এবারের নির্বাচনে এনডিপি-র ভোট শেয়ার কমে দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ৪.৭ শতাংশ, যা আগের চেয়ে প্রায় ১২ শতাংশ কম।
এনডিপি কানাডার পার্লামেন্টে চতুর্থ বৃহত্তম দল হলেও, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন সমীক্ষা ও জনমত জরিপে দলের জনপ্রিয়তা নিম্নমুখী ছিল—ফলে এই ফলাফল অনেকের কাছেই অপ্রত্যাশিত নয়।
ভোটের ফল ঘোষণার পরে, বার্নাবিতে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জগমিত সিং বলেন, “নিঃসন্দেহে, এটি নিউ ডেমোক্র্যাটদের জন্য অত্যন্ত হতাশার রাত। তবে আমরা এখানেই থেমে যাচ্ছি না।” সেই সঙ্গে তিনি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন নেতা নিযুক্ত হলেই তিনি দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন।
প্রসঙ্গত, কানাডায় বসবাসকারী ভারতীয়দের মধ্যে শিখ সম্প্রদায়ের প্রভাব যথেষ্ট। প্রায় ৭.৭ লাখ শিখ সেখানে বসবাস করেন, যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২ শতাংশ। সংখ্যার দিক থেকে ভারতেই শিখদের অনুপাত তুলনামূলকভাবে কম হলেও, কানাডার রাজনীতিতে তাদের উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে।
এখন দেখার, এনডিপির এই পতনের পর কানাডার রাজনীতিতে খলিস্তানপন্থী গোষ্ঠীর ভূমিকা কীভাবে বদলায়।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us