/anm-bengali/media/media_files/2025/05/08/1000200800-266386.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: আমেরিকার সরকার বন্ধের ৩৯তম দিনে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে দেশের আকাশপথ। থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের ঠিক আগে এমন পরিস্থিতিতে লক্ষ লক্ষ মার্কিন নাগরিকের ঘরে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট FlightAware.com-এর তথ্য অনুযায়ী, রবিবার দুপুর পর্যন্ত আমেরিকায় ভেতরে-বাইরে চলা ৪,২০০টিরও বেশি বিমান দেরিতে ছাড়ে, এবং ১,৫০০টিরও বেশি ফ্লাইট সম্পূর্ণ বাতিল হয়।
মার্কিন পরিবহণ সচিব শন ডাফি সতর্ক করেছেন, যদি সরকার বন্ধ অব্যাহত থাকে, তাহলে অনেকেই পরিবার-পরিজনের সঙ্গে থ্যাঙ্কসগিভিং উদযাপন করতে পারবেন না। তাঁর কথায়, “অনেকেই ছুটিতে বাড়ি ফিরতে চান, কিন্তু যদি এই অবস্থার পরিবর্তন না হয়, তাহলে ফ্লাইটের সংখ্যা এত কমে যাবে যে অনেকেই বিমানে উঠতেই পারবেন না।”
ডাফি আরও জানান, বিমান নিয়ন্ত্রণ কক্ষে কর্মরত অফিসাররা আর্থিক সংকটে পড়ছেন, এবং অনেকে কাজে না এসে পরিবারকে খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এর ফলে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ভয়াবহ চাপ তৈরি হয়েছে।
শন ডাফির ভাষায়, “আমরা ফ্লাইট কমিয়ে নিরাপত্তা বজায় রাখতে চাইছি, কিন্তু যতই ফ্লাইট কমাই, কন্ট্রোলাররা কাজে না আসায় ঝুঁকি আরও বাড়ছে। এটা এক ভয়ানক চক্র।”
মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন প্রশাসন (FAA)-এর পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, সরকারি অচলাবস্থার কারণে বিমান চলাচল সীমিত করা হচ্ছে, এবং এর মূল লক্ষ্য নিরাপত্তা বজায় রাখা।
শনিবার রাত পর্যন্ত ২,৫০০-রও বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়, যা গত কয়েক বছরের মধ্যে অন্যতম বড় বাতিলের ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে হোয়াইট হাউস থেকে এখনো পর্যন্ত সরকার পুনরায় চালু করার বিষয়ে কোনও সুস্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়নি। তবে পরিবহন দপ্তরের আশঙ্কা— যদি এই অচলাবস্থা আরও কিছুদিন স্থায়ী হয়, তাহলে থ্যাঙ্কসগিভিং-এ মার্কিন নাগরিকদের ঘরে ফেরা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us