/anm-bengali/media/media_files/2025/04/28/BugrCE9ia4gtmQ6NM8BY.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ অপহরণ কাণ্ডে চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দেশটির নাইজার স্টেটের একটি ক্যাথলিক স্কুল থেকে শুক্রবার ভোরে বন্দুকধারী দুষ্কৃতীরা ৩০৩ জন ছাত্রছাত্রী ও ১২ জন শিক্ষককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। শিশুদের মধ্যে অনেকেই মাত্র দশ বছর বয়সী। সেই ঘটনার দুই দিন পর সামনে এসেছে কিছুটা আশা জাগানো খবর—অপহৃতদের মধ্যে অন্তত ৫০ জন ছাত্র নিজেদের জীবন বাজি রেখে পালাতে সক্ষম হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলিত হয়েছে।
রবিবার খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন অফ নাইজেরিয়া (CAN) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। সংগঠনের রাজ্য শাখার মুখপাত্র ড্যানিয়েল আতোরির কথায়, যে ছাত্ররা পালাতে পেরেছে তারা ভয় পেয়ে আর স্কুলে ফিরে যায়নি, সরাসরি বাড়ির পথে দৌঁড়ে আশ্রয় নেয়। তারা শুক্রবার থেকে শনিবারের মধ্যে কোনও সময়ে বন্দুকবাজদের হাত থেকে পালিয়ে যায়।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/11/24/naizeria-school-student-2025-11-24-00-24-22.png)
তবে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়—এখনও ২৫৩ জন শিশু ও ১২ জন শিক্ষক নিখোঁজ। CAN জানিয়েছে, অপহৃত ২৫৩ জনের মধ্যে ২৫০ জন ছাত্রছাত্রী ছাড়াও রয়েছেন স্কুল কর্মচারীদের তিন সন্তান। বন্দুকবাজদের অবস্থান বা এই বিশাল সংখ্যক শিশু এখন কোথায়, সেসব বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ বা সেনা কিছু স্পষ্ট জানাতে পারেনি।
উত্তর নাইজেরিয়ার বহু অঞ্চলই বহুদিন ধরে সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের দাপটে বিপর্যস্ত। প্রায়শই স্কুলে হামলা, গণ-অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি সেখানে সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনার পর আবারও প্রশ্ন উঠেছে শিশুদের নিরাপত্তা ও প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে। পরিবারগুলির কান্নায় ভেঙে পড়া পরিস্থিতিতে এখন গোটা দেশ তাকিয়ে রয়েছে সরকারের অভিযান আর উদ্ধার কার্যক্রমের দিকে।
অপহৃত ২৫৩ শিশুর ঘরে ফেরার অপেক্ষায় রাত কাটছে হাজারো মানুষের। বিশ্বের নানা প্রান্তের মানবাধিকার সংগঠনও এই ঘটনাকে নৃশংস ও অমানবিক বলে নিন্দা করেছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us