‘গরুর মতো টানা ১৬ ঘণ্টা বেঁধে রাখা হয়েছিল’—বিস্ফোরক অভিযোগ মার্কিন তরুণীর! শুনুন ভিতরের ভয়ঙ্কর কাহিনি!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন ব্যবস্থার নির্মমতা আবার প্রকাশ্যে।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
america imigration


নিজস্ব সংবাদদাতা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন ব্যবস্থার নির্মমতায় আবারও প্রশ্নচিহ্ন। টেক্সাসের ২২ বছরের এক নববধূ, ওয়ার্ড সাকেইক হানিমুন কাটিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঘরে ফিরছিলেন। কিন্তু মায়ামি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পৌঁছাতেই তার জীবনে নেমে আসে এক ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন। হানিমুনের সুখস্মৃতি নিয়ে ফেরার বদলে, তাকে ১৬ ঘণ্টা হাতকড়া ও শেকলে বেঁধে না খাইয়ে ঘোরানো হয়। শুধু তাই নয়, এরপর টানা ১৪০ দিন ধরে ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি করে রাখা হয়—অভিযোগ খোদ ওয়ার্ডের।

ওয়ার্ড বলেন, “আমি শুধু আমার স্বামীর সঙ্গে হানিমুন শেষে ঘরে ফিরছিলাম। কিন্তু আমাকে বন্দি করে, গরুর মতো ঘোরানো হয়েছে। খাবার, জল কিছুই দেওয়া হয়নি।”

উল্লেখযোগ্যভাবে, ওয়ার্ড সাকেইক জন্মেছেন সৌদি আরবে, কিন্তু তিনি কোনও দেশের নাগরিকত্বই পাননি। দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এবং সম্প্রতি মার্কিন নাগরিক তাহির শেখকে বিয়ে করেছেন। তার গ্রিনকার্ডের আবেদনও করেছিলেন। হানিমুনের জন্য তাঁরা বিদেশ নয়, নিরাপদ ভেবেই পাড়ি দিয়েছিলেন ইউএস ভার্জিন আইল্যান্ডসে। ফেরার পথে সমস্ত বৈধ কাগজপত্র ও বিবাহের রিং পরিহিত অবস্থায় ছিলেন ওয়ার্ড।

Arrest

তবুও তল্লাশির পর যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) তাকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনার পর প্রথমবার সংবাদ সম্মেলনে এসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ওয়ার্ড জানান তার অভিজ্ঞতার কথা।

এই ঘটনার পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে মানবাধিকার সংগঠন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে। তবে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের তরফে সাফাই দিয়ে বলা হয়েছে, “ICE ডিটেনশন সেন্টারে সব বন্দিদের যথাযথ খাবার, চিকিৎসা ও পরিবার ও আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ দেওয়া হয়।”

তবে বাস্তবে কি তা-ই? প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।