/anm-bengali/media/media_files/2025/11/09/philipines-typhoon-aa-2025-11-09-22-28-04.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: এক সপ্তাহের মধ্যেই দ্বিতীয় টাইফুনের আঘাতে বিপর্যস্ত ফিলিপাইনস। ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘ফাং-ওং’ (স্থানীয় নাম ‘উয়ান’) রবিবার রাতে আছড়ে পড়ে উত্তর-পূর্ব ফিলিপাইনসের উপকূলে। ঘূর্ণিঝড়ের তীব্র বেগে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত দু’জনের। প্রায় এক মিলিয়ন মানুষ বাধ্য হয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
দেশটির আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে উয়ান সরাসরি আছড়ে পড়ে অরোরা প্রদেশের দিনালুঙ্গান উপকূলে। বাতাসের বেগ ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে উপকূলবর্তী অঞ্চলে ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাস ও প্রবল বৃষ্টিপাত দেখা দিয়েছে।
সিভিল ডিফেন্স বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, একটি প্রদেশে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে জলোচ্ছ্বাসে ডুবে, অন্যদিকে ক্যাটবালোগান সিটিতে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে ধ্বংসস্তূপ থেকে। দমকল বাহিনীর দাবি, প্রবল বাতাসে তাঁর ঘর সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/11/05/philipines-typhoon-2025-11-05-08-48-53.png)
মাত্র কয়েক দিন আগেই ফিলিপাইনস বিধ্বস্ত হয়েছিল টাইফুন ‘কালমেগি’-এর তাণ্ডবে, যেখানে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ২০০ জনের। তার রেশ কাটার আগেই নতুন করে আছড়ে পড়ল ‘উয়ান’। শুধু ফিলিপাইনসই নয়, কালমেগির প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল প্রতিবেশী ভিয়েতনামও, যেখানে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, উয়ানের পরেও আগামী কয়েক দিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। উপকূলের প্রায় এক মিলিয়ন মানুষকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে নিরাপদ অঞ্চলে। বহু শহর ও গ্রাম এখনও বিদ্যুৎহীন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
সরকারি উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, বহু এলাকা এখনও জলমগ্ন, ভেঙে পড়েছে ঘরবাড়ি, নষ্ট হয়েছে ফসল। উদ্ধারকার্য চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us